আবুহুমাইর হোছেন বাপ্পি,কক্সবাজার প্রতিনিধিঃ কক্সবাজারের ঈদগাঁওতে বনবিভাগের নাকের ডগায় গড়ে উঠা ব্রিকফিল্ডে রাতদিন বনের কাঠ পোড়ানো হচ্ছে।
ঈদগাঁও বাস ষ্টেশনের দক্ষিণ দিকে পরিবেশ অধিদপ্তর ও প্রশাসনিক অনুমোদন ছাড়া স্হাপিত আরকেসি ব্রিকফিল্ডে সামাজিক বনায়ন ও রিজার্ভ বন থেকে কাঠ এনে রাতদিন ইট পোড়ানো হচ্ছে।
এর ফলে বন-পাহাড় ও বনজসম্পদ ধ্বংস হয়ে পরিবেশ বিপর্যয়ের আশংকা দেখা দিয়েছে। ইট ভাটায় কাঠ পোড়ানো নিষিদ্ধ হলেও আইনের তোয়াক্কা না করে এখানে পোড়ানো হচ্ছে বনের কাঠ।
ঈদগাঁও উপজেলার সর্বোচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঈদগাহ রশিদ আহমদ কলেজের মাত্র ১০০ গজ দুরত্বেই গড়ে তোলা হয়েছে উক্ত ইট ভাটা। এর নিকট দুরত্বেই রয়েছে ঈদগাহ কেজি স্কুল ও আলমাছিয়া ফাজিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসা। অবৈধ ইটভাটার বিষাক্ত ধোঁয়ায় এসব প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকরা স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়েছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, বাস স্টেশনের দক্ষিণ পার্শ্বে আবাসিক এলাকার মধ্যে স্থাপিত উক্ত ইট ভাটায় অবাধে বনের কাঠ পোড়ানো হচ্ছে। স্থানীয় ও দুরবর্তী বিভিন্ন বন থেকে কাঠ চোরেরা এসব কাঠ কেটে ইট ভাটায় সরবরাহ করছে বলে জানা গেছে।
কাঠ চোর সিন্ডিকেট থেকে কাঠ সরবরাহ নিয়ে ভাটা মালিক বাসভবন সংলগ্ন স্থানে এসব কাঠ মজুদ করে রাতের আধারে দ্রুতগামী ডাম্পার যোগে ভাটায় সরবরাহ করছে।
ঈদগাঁও বাস ষ্টেশন সংলগ্ন অবৈধ এই ডিপো থেকে রাতের আঁধারে এসব কাঠ সরবরাহ করা হচ্ছে আরকেসি ইট ভাটায়।
কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের মেহেরঘোনা রেঞ্জ, নাপিতখালী বনবিট ও ফুলছড়ি রেঞ্জে কর্মরত বনকর্তারা এসব ইটভাটা ও কাঠচোরদের থেকে নিয়মিত মাসোহারা নেন বলে জানা গেছে। এর ফলে ধ্বংস হচ্ছে বন ও পরিবেশ।
কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তর সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, উক্ত ব্রীক ফিল্ডের পরিবেশ ছাড়পত্র নেই।
কিন্তু ভাটা মালিক রেজাউল করিম সিকদার কাঠ পোড়ানো হচ্ছেনা দাবী করে বলেন, আগামী বছর থেকে ইটভাটা অন্যত্র স্থানান্তর করা হবে।
ফসলী জমি থেকে টপসয়েল কেটে নেয়ার কথাও অস্বীকার করেন তিনি।
ঈদগাঁও ভোমরিয়াঘোনা রেঞ্জ কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন খান বলেন, খোঁজ খবর নিয়ে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হবে।