বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ৭১ টিভিকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন মুশফিকুর রহিম। নোটিশটি পাঠানো হয়েছে চ্যানেলটির হেড অব নিউজ, ক্রীড়া সম্পাদক ও সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদকের নামে। জাতীয় দলের তারকা ক্রিকেটার মুশফিকের আইনজীবী ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে খবরটি নিশ্চিত করেছেন।
ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড টেস্ট সিরিজ চলাকালীন গত ৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের ‘আউট অবস্ট্রাক্টিং দ্য ফিল্ড’ কে কেন্দ্র করে ‘মিরপুর টেস্টে স্পট ফিক্সিংয়ের গন্ধ! সন্দেহ সিনিয়র ক্রিকেটারের দিকে!’— শিরোনামে একটি প্রতিবেদন ৭১ টেলিভিশনের নিয়মিত অনুষ্ঠান খেলাযোগের ফেসবুক পেজ ও ইউটিউবে প্রচার করা হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়- প্রতিবেদনে মুশফিকের আউট নিয়ে মনগড়া, অসত্য, উদ্দেশ্য-প্রণোদিত তথ্য পরিবেশন করে তার দীর্ঘ ১৮ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ওপর কালিমা লেপন করা হয়েছে এবং তার সুনাম ক্ষুণ্ন করা হয়েছে।
ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন যোগ করেন- প্রতিবেদনটি এমন সময়ে করা হয়েছে যখন বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট চলছে। এই প্রতিবেদনের কারনে মুশফিকুর রহিম পারিবারিক, সামাজিক ও ব্যক্তি পর্যায়ে সুনাম ক্ষুণ্নের শিকার হয়েছেন এবং তিনি এই বিকৃত তথ্য সম্বলিত প্রতিবেদনের কারণে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত সময় পার করেছেন।
মুশফিকের হয়ে নোটিশটি আজ ইমেইলের মাধ্যমে পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান। নোটিশে চারটি বিষয়ে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিষ্পত্তি চাওয়া হয়েছে। তার মধ্যে প্রথমেই অসত্য ও মনগড়া প্রতিবেদনটি অতি সত্ত্বর সরিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে ইউটিউবসহ অন্যান্য প্লাটফর্ম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে।
ভুল ও অসত্য এবং মানহানিকর তথ্য সম্বলিত প্রতিবেদনের জন্য ৭১ টেলিভিশনকে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনাসহ তাদের চ্যানেলে এই সংক্রান্ত প্রতিবেদনও প্রচার করতে বলা হয়েছে নোটিশে। ৭১ টেলিভিশনকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তাদের মনগড়া ও ভুল প্রতিবেদনের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদক সাইফুল রূপককে ভবিষ্যতে এমন অসত্য ও মনগড়া প্রতিবেদন না করার বিষয়ে সতর্ক করার বিষয়ে মুশফিকের কাছে ৭১ টেলিভিশন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানাতে বলা হয়েছে।
নোটিশে উক্ত প্রতিবেদন দন্ডবিধির ৫০০ ধারায় মানহানির অপরাধ ও সাইবার নিরাপত্তা আইন, ২০২৩ এর ২৫(১)(ক), ২৫(২) এবং ২৯ ধারায় সাইবার বুলিং এর অপরাধ উল্লেখ করে প্রতিকার না পেলে ফৌজদারি ও ক্ষতিপূরণ আদায়ে দেওয়ানী আদালতে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ার করা হয়েছে।