মহাস্থান নিউজ: যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরিতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ইয়াজউদ্দিন রমিম হত্যার প্রতিবাদে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করা হয়েছে।
সোমবার (২৪ জুলাই) সচেতন নাগরিক সমাজের ব্যানারে এ কর্মসূচি করা হয়। কর্মসূচিতে অংশ নেন দুই শতাধিক শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, যুক্তরাষ্ট্র কথায় কথায় বাংলাদেশ ইস্যুতে নাক গলায়। মানবাধিকার লঙ্ঘনের ধোয়া তোলে। অথচ সেই আমেরিকায় প্রকাশ্যে আমার দেশের এক তরুণকে খুন করা হয়েছে। খুন হওয়া ইয়াজউদ্দিন রমিম বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। আমরা তার হত্যাকারীদের বিচার চাই। তারা আরও বলেন, আমরা ঢাকায় অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তাদের বলবো- রমিমের পরিবারকে যৌক্তিক আর্থিক সহায়তার ব্যবস্থা করুন। তার পরিবারের কাছে ক্ষমা চান। আর বাংলাদেশ নিয়ে অযাচিত নাক গলানো বন্ধ করুন। তা না হলে বাংলাদেশের মানুষ রুখে দাঁড়াবে।
সচেতন নাগরিক সমাজের সদস্যসচিব আশরাফ হোসেনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য দেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) কাউন্সিলর ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আসাদুজ্জামান আসাদ, সচেতন নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মশিউর রহমান, ছাত্রনেতা মুন্সি আরিফ প্রমুখ। এদিকে, রমিম হত্যার বিচার নিশ্চিত করা ও তার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবিতে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে স্মারকলিপি দেবে সচেতন নাগরিক সমাজ। জানা গেছে, মিসৌরির সেন্ট লুইস শহরের হ্যাম্পটন অ্যাভিনিউয়ে স্থানীয় সময় ১৮ জুলাই সকালে একটি গ্যাস স্টেশনে ইয়াজউদ্দিন রমিমকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ২২ বছর বয়সী ওই শিক্ষার্থীর বাড়ি চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার ভালুকিয়াগ্রামে। রমিম মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা সামছুদ্দিন আহমেদের ছেলে।পুলিশ বলছে, ওই গ্যাস স্টেশনে কাজ করতেন রমিম। মঙ্গলবার সকালে গ্যাস স্টেশনের বাইরে তার গাড়ির কাচ ভেঙে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করে একদল সন্ত্রাসী। এসময় তিনি তাদের বাধা দিলে তারা তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। পরে পুলিশ এসে রমিমকে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অন্যদিকে মিসৌরিতে গুলি করে বাংলাদেশি ছাত্র হত্যার ঘটনা গভীর সমবেদনা প্রকাশ করে বাংলাদেশে অবস্থিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এ ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করে দোষীদের বিচারের আওতায় আনা হবে।