মহাস্থান নিউজ:
শিক্ষার্থীকে অশ্লীল বার্তা পাঠানো ও বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে সরকারি বগুড়ার সরকারি মুস্তাফাবিয়া আলিয়া মাদ্রাসার এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন বর্তমান ও প্রাক্তণ শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসী।
রোববার বেলা ১২ টার দিকে শহরের গোয়ালগাড়ী এলাকার মাদ্রাসার সামনে সড়ক অবরোধ করে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা।
বার্তা দেয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের নাম জিএম শিক্ষক সামছুল আলম। এ ছাড়া সামছুল আলমের বিরুদ্ধে গাছ কাটাসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। তার সঙ্গে একই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক রাজিয়া সুলতানা ও পিয়ন জাফরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ তুলেন বিক্ষোভকারীরা।
বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষক সামছুল আলম ক্ষমতার জোরে আমাদের বোনকে অশ্লীল আচরণ করেছে। অতিষ্ঠ হয়ে আজ আমরা প্রতিবাদ জানাতে রাস্তায় নেমেছি। ওই শিক্ষকের অন্যায় আচরণে আমরা অতিষ্ঠ হয়ে গেছি।
সামছুল আলম দীর্ঘদিন ধরে মাদ্রাসায় অনিয়ম করে যাচ্ছেন৷ মাদ্রাসার গাছ বিক্রি করা থেকে শুরু করে নানা ধরনের অপকর্ম করে আসছেন। এছাড়াও মাদ্রাসার একজন শিক্ষক হারুন রশীদের থেকে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেন তারা। পরে সেই টাকা চাইতে গেলে মাদ্রাসার একজন শিক্ষিকাকে দিয়ে মিথ্যা বানেয়াট একটি অভিযোগও করেছে তার বিরুদ্ধে।
এসব অভিযোগের বর্ননা দিয়ে বিক্ষোভকারী মিথ্যা অভিযোগ প্রত্যাহার করার দাবি জানান। একই সঙ্গে জিএম সামছুল আলম এবং তার সহযোগী শিক্ষক রাজিয়া সুলতানা ও পিয়ন জাফরুল ইসলামের শাস্তির দাবি জানান তারা।
মাদ্রাসার ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী বলেন, ‘মাদ্রাসার জিএম শিক্ষক সামছুল আলম হোয়াটসঅ্যাপে আমাকে পরীক্ষায় এ প্লাস পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে নানা ধরণের অশ্লীল কথাবার্তা বলেন। একাধিকবার আমি নিষেধ করলেও তিনি এসব করতেই থাকেন। তাই এমন একজন শিক্ষক এই মাদ্রাসায় থাকুক এটা আমরা চাই না।’
তবে অভিযোগের বিষয়ে সামছুল আলম বা অন্যদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোখলেছুর রহমান জানান, শিক্ষক-শিক্ষিকার বিষয়টি মিথ্যা প্রমাণ হয়েছে। সামছুল আলম ও শিক্ষিকা রাজিয়া সুলতানা তারা ভুল স্বীকারও করেছেন। এ জন্য হারুন রশীদকে টাকা ফেরত দিতেও বলা হয়েছে।’
আর ছাত্রীর অভিযোগের বিষয়ে অধ্যক্ষ বলেন, ‘ছাত্রীদের যে বিষয়টি আমি লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছি। মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি ও শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠক করে এবং সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’