মহাস্থান নিউজ:
মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে আজ শনিবার থেকে সব বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি। পাশাপাশি একই সময় দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে চলমান লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
গত শুক্রবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন সংগঠনের নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. বজলুর রহমান মিয়া বলেন, শিক্ষার ক্ষেত্রে বিরাজমান সরকারি ও বেসরকারি বৈষম্য দূরীকরণের লক্ষ্যে মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের এক দফা দাবিতে ১৫ জুলাই থেকে বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হবে।
বজলুর রহমান মিয়া বলেন, একই কারিকুলামের অধীনে একই সিলেবাস, একই একাডেমিক সময়সূচি, একইভাবে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও উত্তরপত্র মূল্যায়নের কাজে নিয়োজিত থেকেও আর্থিক সুবিধার ক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে রয়েছে পাহাড়সম বৈষম্য। বঙ্গবন্ধু ১৯৭৩ সালে একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে প্রায় ৩৭ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করেছিলেন। ঠিক তেমনিভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রায় ২৬ হাজার বেসরকারি রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করে জাতির কাছে স্মরণীয় হয়ে আছেন। এ অবস্থায় দেশ ও জনগণের বৃহৎ স্বার্থে দ্রুত জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ বাস্তবায়ন, শিক্ষায় বিনিয়োগে ইউনেসকো-আইএলওর সুপারিশসমূহ বাস্তবায়ন ও সবার জন্য শিক্ষাগ্রহণের সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণ এখন সময়ের দাবি।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শেখ কাওছার আহমেদসহ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত মঙ্গলবার থেকে একই দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে সংগঠনটি। কয়েক শ শিক্ষক এ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। আন্দোলনকারী শিক্ষকরা জানান, আমাদের একটিই দাবি মাধ্যমিক শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ করতে হবে। আর দাবি আদায় না করা পর্যন্ত আমরা রাজপথেই অবস্থান করব।
শিক্ষকরা বলেন, বর্তমানে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা মাত্র ২৫ শতাংশ উৎসব ভাতা, ১ হাজার টাকা বাড়ি ভাড়া ও ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা পান। এছাড়া বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের অবসরে যাওয়ার পর অবসর সুবিধা ও কল্যাণ ট্রাস্টের টাকা পেতে বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে হয়। এছাড়া বিগত কয়েক বছর যাবত্ অবসর সুবিধা ও কল্যাণ ট্রাস্ট খাতে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন থেকে ১০ শতাংশ কেটে নেওয়া হচ্ছে। এর প্রতিবাদে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হলেও প্রতিকার পাওয়া যায়নি।