মহাস্থান নিউজ:
ফ্রাঞ্চাইজি ভিত্তিক টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতা বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) পরবর্তী আসর আট দলের হতে পারে। রাজশাহী ফ্রাঞ্চাইজি পেতে এরই মধ্যে আগ্রহ দেখিয়েছে দুটি প্রতিষ্ঠান। বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল দল বাড়াতে আগ্রহী হলেও বিপিএলের সময়সূচি নিয়ে চিন্তিত।
শেষ বিপিএলের পরই জানা গিয়েছিল, জানুয়ারিতে পরবর্তী আসর বসবে। আগের পরিকল্পনাতেই স্থির আছেন আয়োজকরা। বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক শনিবার বলেছেন, ‘এই বছর জাতীয় নির্বাচন আছে। নির্বাচনের চূড়ান্ত তারিখ এখনো ঘোষণা করেনি। বিপিএল কবে শুরু করতে পারি সেই আলোচনা আমাদের একটি বোর্ড মিটিংয়ে হয়েছে। সেখানে আমাদের প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে, জাতীয় নির্বাচনের পরপরই আমরা বিপিএল করবো।’
‘জাতীয় নির্বাচন জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে শোনা যাচ্ছে পত্রপত্রিকায়। সেক্ষেত্রে আমরা ১০ তারিখ বা এর আগে পরে একটা সুইটেবল ডেট দেখে বিপিএল শুরু করবো। জানুয়ারিতে শুরু করে আবার ফেব্রুয়ারিতেই শেষ করতে হবে। কারণ শ্রীলঙ্কা সিরিজ আছে।’
বিপিএল বরাবরই হয় ব্যস্ত সূচিতে। ঠাসাঠাসি সূচিতে ক্রিকেটাররা দম ফেলানোর ফুরসত পাননা। একই সঙ্গে বিপিএল চলাকালীন একাধিক টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। তাইতো ভালোমানের বিদেশী ক্রিকেটর পাওয়া অনেক সময় সম্ভব হয় না। সব জেনে ইসমাইল হায়দার মল্লিক আশার কথা শোনালেন, ‘আমরা চাই ১০ জানুয়ারি থেকেই বিপিএল শুরু করতে। এর আগেও যদি করার সুযোগ থাকে এবং জাতীয় নির্বাচন যদি আগে হয়ে যায় তাহলে আগেও করতে পারি। জাতীয় দলের ব্যস্ত সূচির কারণে বিপিএলের উইন্ডো কম থাকে। জাতীয় দলের খেলাটাকে আমরা সর্বাধিক প্রায়োরিটি দেই। এর বাইরে এক মাস নেই যেখানে আমরা বিপিএল-টা হোষ্ট করতে পারি। ভালো হতো নভেম্বর-ডিসেম্বরে করতে। কিন্তু ওই সময়ে জাতীয় দলের খেলা আছে। তাই ওই স্লটেই আছে।’
এদিকে প্লেয়ার্স ড্রাফট সেপ্টেম্বরে শেষ করার কথাও বলেছেন তিনি, ‘প্লেয়ার্স ড্রাফটা চেষ্টা করবো সেপ্টেম্বরের থার্ড বা লাস্ট উইকে শেষ করে ফেলতে যেন প্রত্যেকটি টিম দল গোছাতে পর্যাপ্ত সময় পায়। আমরা গতকাল ও পরশু সম্ভাব্য যারা ফ্রাঞ্চাইজি আছে প্রত্যেককে জানিয়ে দিয়েছি যে, সেপ্টেম্বরে প্লেয়ার্স ড্রাফট করবো এবং জানুয়ারিতে খেলাটা শুরু করতে চাই।’
নতুন দল নিয়ে তিনি যোগ করেছেন, ‘আমাদের কাছে আগ্রহী তিন-চারটা প্রতিষ্ঠানের নাম নেওয়া আছে। আগের কেউ যদি কন্টিনিউ করতে না চায় তাহলে আমরা পরিবর্তন করে দিতে পারি। আমাদের যদি স্লট বাড়ে তাহলে একটা টিম বাড়াতেও পারি।’
শেষ দুই বিপিএলে ডিআরএস নিয়ে প্রবল সমালোচনা হয়েছে। গ্রুপ ম্যাচে ডিআরএস সরবরাহ করতে পারেনি আয়োজকরা। এবার শুরু থেকেই থাকবে ডিআরিএস, ‘গতবার ডিআরএস আনতে পারিনি গ্রুপ ম্যাচে। কোয়ালিফায়ার ও ফাইনাল ম্যাচে ছিল। এবার ডিআরএস কিন্তু কোনো প্রোডাকশন কোম্পানি, বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল এদের কাছে নেই। বোর্ড সরাসরি ডিআরএস কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করেছে। চার বছরের জন্য তাদেরকে পাচ্ছি।’
গত কয়েক আসরের মতো এবারও ঢাকা, সিলেট ও চট্টগ্রামে হবে বিপিএল।