মহাস্থান নিউজ:
সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনতে গরু ও মাংস আমদানির নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ জুন) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসান এ রিট দায়ের করেন।
তিনি বলেন, আমদানি নীতি ২০২১-২৪ অনুযায়ী গরুর মাংস একটি আমদানিযোগ্য পণ্য। অপরদিকে ‘দি ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ অর্ডার’ ১৯৭২ এর ধারা ১২ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির মাধ্যমে বাজারে পণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করে বাজার মূল্য সহনীয় রাখা টিসিবির আইনি কর্তব্য। কিন্তু টিসিবি বিদেশ থেকে জীবন্ত গরু এবং গরুর মাংস আমদানি না করে তার আইনি কর্তব্য পালনে ব্যর্থ হয়েছে। অপরদিকে দায়িত্বপ্রাপ্ত এসব মন্ত্রণালয় ও সংস্থার ব্যর্থতার জন্য বাজারে গরুর মাংস নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত জনগণের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। এর ফলে বাংলাদেশ সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৫ ও মৌলিক অধিকার ৩১/৩২ লঙ্ঘন হচ্ছে।
বর্তমানে গরুর মাংসের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত জনগণও গরুর মাংস কিনতে পারছে না। এ কারণে গরুর মাংসকে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনতে অবিলম্বে গরু ও মাংস বিদেশ থেকে আমদানি করতে হবে।
এদিকে রিটে বলা হয়েছে, গরুর মাংস বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের অন্যতম প্রধান খাদ্য। কিন্তু বাজারে গরুর মাংসের দাম অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ৭৫০ থেকে ৮৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে এবং প্রতিনিয়ত দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। গরুর মাংস এরইমধ্যে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে।
আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের অন্যতম প্রধান খাদ্য গরুর মাংসের জোগান ও মূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার মাধ্যমে সরকার জনগণের খাদ্য নিরাপত্তা সুরক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে, যা বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৫ এর লঙ্ঘন। অপরদিকে গরুর মাংসের জোগান ও মূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার মাধ্যমে সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের পুষ্টি চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে যার কারণে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ যথাযথ পুষ্টি থেকে বঞ্চিত হয়ে সুস্থভাবে বেঁচে থাকার অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, যা আমাদের সংবিধানের মৌলিক অধিকার ৩১/৩২ অনুচ্ছেদের সরাসরি লঙ্ঘন।