মহাস্থান নিউজ:
মৌলভীবাজারে কর্মসূচি পালনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়েছে। এতে জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) এম নাসের রহমানসহ ২০ জন আহত হয়েছেন।
শনিবার দুপুরে শহরের কোর্ট রোডের কাশিনাথ আলাউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের সামনে এ সংঘর্ষ হয়। আহত নাসের রহমানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, দুপুর ১টার দিকে কেন্দ্রঘোষিত কর্মসূচি মানববন্ধনের প্রস্তুতিকালে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরা দেশীয় অস্ত্র ও ইটপাটকেল নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালান। এতে জেলা বিএনপির সভাপতি নাসের রহমান, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আকিদুর রহমান সোহান, জেলা জাসাসের সদস্য সচিব জসিম তালুকদারসহ বিএনপি, ছাত্রদল ও যুবদলের প্রায় ২০ জন নেতা-কর্মী আহত হন।
যদিও আওয়ামী লীগের নেতাদের দাবি, তাদের শান্তির মিছিল চলাকালে কেউ এর মধ্যে ঢিল ছোড়ে। এসময় সংঘর্ষ শুরু হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যে, উভয়পক্ষের মধ্যে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া-পাল্টা শুরু হলে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এসময় ছাত্রলীগ ও যুবলীগেরও কয়েকজন আহত হন। সংঘর্ষ চলাকালে দুটি গাড়িও ভাঙচুর করা করা হয়। এ নিয়ে ওই এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছিল। আহতরা স্থানীয় বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকে চিকিৎসা নেন।
পরে অবশ্য বিএনপি মৌলভীবাজার সরকারি স্কুল মাঠের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আরিফুল হক চৌধুরী।
সংঘর্ষের ব্যাপারে জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি সাবেক পৌর মেয়র ফয়জুল করিম বলেন, ‘দুপুর ১টায় শুরু হওয়া বিএনপির মানববন্ধনের প্রস্তুতিকালে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ দেশীয় অস্ত্র ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে হামলা চালায়। হামলায় এম নাসের রহমানসহ বিএনপি, ছাত্রদল ও যুবদলের প্রায় ২০ জন আহত হন।’
তবে জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ রেজাউল করিম সুমন বলেন, ‘শহীদ মিনার থেকে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আওয়ামী লীগের শান্তি মিছিল চলছিল। এ সময় কে বা কারা মিছিলের মধ্যে ঢিল মারে, এরপরই সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়।’
মৌলভীবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুনুর রশিদ চৌধুরী বলেন, এ নিয়ে শহরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।