মহাস্থান নিউজ:
বাংলাদেশ ও আর্জেন্টিনার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারে আরও একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এই স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় বাংলাদেশের পক্ষে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এবং আর্জেন্টিনার পক্ষে ঢাকায় সফররত দেশটির ফরেন অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড মিনিস্টার সান্তিয়াগো ক্যাফিয়ারো এই এমওইউ স্বাক্ষর করেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ বর্তমান সরকারের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার একটি উল্লেখযোগ্য অর্জন। এই অর্জন বিশ্বে বাংলাদেশের পজিটিভ ইমেজ বিল্ডিং এবং বিনিয়োগ ও বাণিজ্যে নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টির পাশাপাশি বেশ কিছু চ্যালেঞ্জও তৈরি করবে। ফলে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশের বিদ্যমান বাণিজ্য সুবিধা সংকুচিত হবে।
এতে জানানো হয়, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার মাধ্যমে বাংলাদেশের রফতানি বাজার সংরক্ষণ, সম্প্রসারণ, বিভিন্ন দেশের সঙ্গে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার সুবিধা নিশ্চিত ও বাণিজ্য বৃদ্ধির লক্ষে মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ট্রেড ব্লকের সঙ্গে আঞ্চলিক চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে বাণিজ্যমন্ত্রী এবং মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব সম্ভাবনাময় দক্ষিণ আমেরিকান দেশগুলো সফর করেছেন। এই অঞ্চলের বাণিজ্য জোট মার্কোসুরের সঙ্গে মুক্ত চুক্তি স্বাক্ষরের লক্ষ্যে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে খাদ্য নিরাপত্তা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে উঠেছে। আর্জেন্টিনা বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক অংশীদার এবং বিশ্বের প্রধান খাদ্য উৎপাদকারী দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। বাংলাদেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণের জন্য সম্ভাবনাময় অঞ্চল আর্জেন্টিনা। পণ্য ছাড়াও সেবা ও বিনিয়োগ খাতেও আর্জেন্টিনার সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের সম্ভাবনা রয়েছে। তাই আর্জেন্টিনার সঙ্গে বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার বন্ধন আরও জোরদার এবং বাণিজ্য সম্পর্ক গভীর করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এতে আরও জানানো হয়, এরই পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ও আর্জেন্টিনার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদারকরণে এবং উভয় দেশের জনগণের কল্যাণে তাদের নিজ নিজ অর্থনীতির অগ্রগতিসাধনে পারস্পরিক স্বার্থ সমুন্নত করার লক্ষ্যে দুই দেশের মধ্যে এমওইউ স্বাক্ষরের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের ফলে উভয় দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণসহ অন্যান্য দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বিনিময়ের উন্নয়ন ও বর্ধিত করার সুযোগ সৃষ্টি হবে।