মহাস্থান নিউজ:
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের রেলপথ নির্মাণের কাজ বাঁশি বাজিয়ে পতাকা উড়িয়ে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) পদ্মা নদীর তীরে নবনির্মিত রূপপুর স্টেশনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এর উদ্বোধন করেন।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার জানান, এই রেলপথের মাধ্যমে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের ভারী যন্ত্রপাতি, মালামাল ছাড়াও ঈশ্বরদী ইপিজেডের প্রস্তুতকৃত মালামাল কন্টেইনারের মাধ্যমে কম খরচে, কম সময়ে সরাসরি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছাতে পারবে। পাশাপাশি এ অঞ্চলের মানুষ পণ্যবাহী ট্রেনে সহজে মালপত্র আনা-নেওয়া করতে পারবে। এতে ব্যবসা ও বাণিজ্যে আমূল পরিবর্তন আসবে, জাগরিত হবে ঈশ্বরদীসহ উত্তরাঞ্চলের অর্থনীতি।
ঈশ্বরদী-রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র রেলপথের প্রকল্প পরিচালক এবং পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান প্রকৌশলী আসাদুল হক বলেন, এ রেলপথ নির্মাণের ফলে শুধু রূপপুর প্রকল্পেরই নয় ঈশ্বরদী ইপিজেডের প্রস্তুতকৃত মালামাল কন্টেইনারের মাধ্যমে কম খরচে, কম সময়ে সরাসরি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছানোতে নব দিগন্তের সূচনা সৃষ্টি হয়েছে। ৩৩৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ঈশ্বরদী-রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র রেললাইন প্রকল্পটি আলোর মুখ দেখবে।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজনের সভাপত্বিতে উদ্বোধর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পাবনা ৪ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান বিশ্বাস, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য নাদিরা ইয়াসমিন জলি, পাবনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহিম পাকন, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব লুৎফর রহমান, পশ্চিমাঞ্চল রেলের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার, প্রধান প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক আসাদুল হক, পাবনার জেলা প্রশাসক বিশ্বাস রাসেন হোসেন, পাবনার পুলিশ সুপার মুন্সি আকবর আলী, রেলের পুলিশ সুপার শাহাব উদ্দিন, ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নায়েব আলী বিশ্বাস, রেলওয়ে পাকশী ডিআরএম শাহ সূফী নূর মোহাম্মদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পি এম ইমরুল কায়েস, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম খানসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা, পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের কর্মকর্তা, সাংবাদিক ও সুধীজন।
প্রকৌশল অফিস সূত্র জানায়, ২০১৮ সালের ১ এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত এ প্রকল্পের কর্মযজ্ঞ চলে। ভারতের জিপিটি ও বাংলাদেশের এসইএল ও সিসিএল অংশীদারত্বের ভিত্তিতে (জয়েন্ট ভেঞ্চার) ৩৩৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ঈশ্বরদী বাইপাস টেক অফ পয়েন্ট থেকে পাকশীর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পর্যন্ত ২৬ দশমিক ৫২ কিলোমিটার ব্রডগেজ ও মিটারগেজ (ডুয়েল গেজ) রেললাইন নির্মাণ করা হয়। এছাড়াও ১৩টি লেবেল ক্রসিং গেট, ‘বি’ শ্রেণির একটি সুদৃশ্য স্টেশন ভবন, একটি প্লাটফর্ম, সাতটি বক্স কালভার্ট নির্মাণ করা হয়। ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনের দু’পাশের লুপলাইন সংস্কার, প্লাটফর্ম উঁচু করার কারণে একসঙ্গে ১৮টি ট্রেন ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনেএসে দাঁড়াতে পারবে।