খেলোয়াড়দের জার্সি নিলামে তোলা নতুন নয় পিএসজির জন্য। সমর্থকদের মধ্যে এর চাহিদাও প্রচুর, পিএসজি তাই ম্যাচে খেলোয়াড়দের পরা জার্সি নিলামে তোলে। মোটা অঙ্কের টাকায় সমর্থকেরা তা কিনেও নেন। পিএসজির ওয়েবসাইটে এই নিলাম করা হয়।
সমর্থকেরা সরাসরি নিলামে অংশ নিতে পারেন। জার্সি প্রাপকের হাতে তুলে দেওয়ার সময় একটি নিয়মও মেনে চলে ফরাসি ক্লাবটি। জার্সিটি যে আসল, তার পক্ষে একটি সনদও তুলে দেওয়া হয় সমর্থকের হাতে। তো এবার মেসির জার্সি নিয়ে মজেছেন পিএসজির সমর্থকেরা
স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মার্কা ও ব্রিটেনের সংবাদমাধ্যম মেইল অনলাইন জানিয়েছে, মেসির জার্সি ছাড়াও আরও ১৭টি জার্সি নিলামে বিক্রি হয়েছে। বিশ্বকাপ জয়ের পর পিএসজিতে ফিরে প্রথম ম্যাচে অঁজের মুখোমুখি হয়েছিলেন মেসি। সে ম্যাচে মেসির পরা জার্সিটি এক চীনা নাগরিক ৪৭ হাজার ৩০০ ডলারে (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪৯ লাখ ৯৬ হাজার টাকা) কিনেছেন বলে জানিয়েছে মার্কা।
এক সপ্তাহব্যাপী এ নিলামে জার্সিগুলোর ভিত্তি মূল্য ছিল ৯৬ দশমিক ২ ডলার। ২৪ হাজার ডলার থেকে দাম বলা শুরু করে সাতবারের প্রচেষ্টায় অঁজের বিপক্ষে মেসির পরা জার্সিটি কিনতে সক্ষম হন সেই চীনা নাগরিক।
নিলামে নেইমার ও কিলিয়ান এমবাপ্পের জার্সিও বিক্রি হয়েছে। লেঁস ও স্ত্রাসবুর্গের বিপক্ষে নেইমার ও এমবাপ্পে যেসব জার্সি পরে মাঠে নেমেছিলেন, সেগুলো কিনে নিয়েছেন সমর্থকেরা। নেইমারের জার্সি বিক্রি হয়েছে ৮ হাজার ৬১০ ডলারে। এমবাপ্পের দুটি জার্সি বিক্রি হয়েছে। একটির দাম ১৫ হাজার ৩৬২ ডলার, অন্যটির দাম উঠেছে ১৬ হাজার ৩৫৩ ডলার। গত বছরের নভেম্বর থেকে খেলোয়াড়দের জার্সি নিলামে তুলছে পিএসজি।
সৌদি আরবে পরশু রাতে রিয়াদ অলস্টার দলের সঙ্গে প্রীতি ম্যাচে ৫-৪ গোলে জিতেছে পিএসজি। সৌদির ক্লাব আল নাসরে যোগ দেওয়া ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো এ ম্যাচে মেসির প্রতিপক্ষ ছিলেন। যেহেতু রোনালদোর বিপক্ষে ম্যাচ, মেসি তাই এ ম্যাচে যে জার্সি পরে খেলেছেন, সেটি নিয়ে ভক্তদের তুমুল আগ্রহ থাকাই স্বাভাবিক।