সরকারি কর্ম কমিশন গঠনের ক্ষেত্রেই অনিয়ম হয় বলে অভিযোগ করেন সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম। তিনি বলেন, কমিশন চেয়ারম্যান ও সদস্য নিয়োগ দেয় সরকার। সেখান থেকে জটিলতা শুরু হয়। নিয়োগে অনিয়ম হয়। নিয়োগকৃতরা সঠিক প্রশিক্ষণ পান না। তাঁরা দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। ফলে সংকট তৈরি হয়। তাই সংবিধান অনুযায়ী কমিশন গঠনের বিষয়টি স্পষ্ট করা দরকার।
৪০তম বিসিএসের নন ক্যাডারদের দ্রুত নিয়োগের দাবি জানান সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু। তিনি বলেন, কোনো সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা ছাড়াই তাঁদের নিয়োগ আটকে রাখা হয়েছে।
বিদ্যমান আইনে ভুয়া পরীক্ষার্থী হিসেবে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ বা প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত থাকার বিষয়ে কোনো সাজার বিধান ছিল না। নতুন আইনে সেটি যুক্ত করা হয়েছে। কোনো ব্যক্তি পরীক্ষার্থী না হয়েও নিজেকে পরীক্ষার্থী হিসেবে হাজির করলে বা মিথ্যা তথ্য দিয়ে পরীক্ষার সময় পরীক্ষার হলে প্রবেশ করলে বা অন্য কোনো ব্যক্তির নামে বা কোনো কল্পিত নামে পরীক্ষায় অংশ নিলে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। এর শাস্তি সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড বা অর্থদণ্ড বা উভয় দন্ড।
বিলে বলা হয়েছে, একজন সভাপতি অন্তত ছয়জন এবং সর্বোচ্চ ১৫ জন সদস্যের সমন্বয়ে কমিশন গঠিত হবে। প্রজাতন্ত্রের জনবল নিয়োগের উদ্দেশ্যে সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধি-বিধান সাপেক্ষে পরীক্ষা গ্রহণের পদ্ধতি ও শর্তাবলি নির্ধারণ করতে পারবে এই কমিশন।