স্টাফ রিপোর্টার : বগুড়ায় চাঞ্চল্যকর পৃথক দুই হত্যা মামলায় ৩ আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ইতোমধ্যে জবানবন্দীর জন্য তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১২ মে) বেলা ১২টায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) বগুড়া কার্যালয়ে সাংবাদিকদের পিবিআই বগুড়ার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আকরামুল হক জানান, দীর্ঘ দুই বছর পর বগুড়া সোনাতলায় টাকা লেনদেনের জেরে বন্ধুর হাতে খুনের মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন মারুফুল ইসলাম ওরফে পাপ্পু (২৮)। তিনি সোনতলা উপজেলার ঠাকুরপাড়া গ্রামের মৃত নজিবুরের ছেলে।
অন্যদিকে নন্দীগ্রামের আলোচিত উজ্জ্বল হত্যা মামলার দুই আসামাী আলী হাসান (২৮) ও সাইদুল ইসলাম সাহাদকে (৪০) গ্রেফতার করা হয়। তারা উভয়ই নন্দীগ্রামের শেখের মরিয়া এলাকার মৃত মুসা হাজী ও ফজলুর রহমানের ছেলে।
গত ২০২০ সালের ১১ এপ্রিল সোনাতলায় টাকা লেনদেনের জেরে বন্ধুর ছুরিকাঘাতে খুন হন ব্যবসায়ী পারভেজ ইসলাম সুমন। ওই দিন আসামী পাপ্পুর ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত অবস্থায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর আড়াইটার দিকে মারা যায় তিনি।
মূলত নিহন সুমনের সোনাতলা বাজারে মোবাইল সিমের ব্যবসা ছিল এবং তার সাথে মাসুদ রানা নামের এক ব্যক্তি বিক্রয়কর্মী হিসেবে কাজ করতেন। ফলে সিম বিক্রির টাকা নিয়ে মাসুদের সাথে সুমনের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এই বিরোধের মীমাংসের জন্য ২০২০ সালের ১১ এপ্রিল দুপুর ১টার দিকে সুমনকে তার বাড়ী থেকে সোনাতলার করমজা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ডেকে নেয় পাপ্পু। কিন্তু পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী বার্মিজ চাকুর আঘাতে সুমনকে হত্যা করা হয়।
অন্যদিকে, গেল দুই বছর আগে নন্দীগ্রামের শেখের মরিয়া এলাকায় পিটিয়ে হত্যা করা হয় উজ্জ্বল হোসেন (৩৮) নামের এক যুবককে। পরে নিহতের মা জহুরা বেওয়া স্থানীয় থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে বাদী নারাজী জানালে আদালতের নির্দেশে মামলার তদন্ত শুরু করে পিবিআই।
জানা যায়, নিহত উজ্জ্বলকে গরু চোর সন্দেহে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পিবিআই। গ্রেফতার দুজনই বুধবার (১১ মে) বগুড়া চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেছেন।