এস আই শফিক বগুড়া (সদর) প্রতিনিধি : আগামীকাল ঐতিহাসিক মহাস্থান গড়ে হযরত শাহ সুলতান বলখী (রঃ) এর বিজয় দিবস বা বৈশাখের শেষ বৃহস্পতিবার। যথাযথ মর্যাদা ও ধর্মীয় উৎসাহ উদ্দিপনা ও কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে শেষ বৈশাখ বা শেষ বৃহস্পতিবার। মহামারী করোনার কারণে দু’বছর বন্ধ থাকলেও এবার এক সপÍাহ আগে থেকেই ভক্তদের আগমন লক্ষ্যনীয়।
বিশ্বের পুন্ড্রবর্ধন নামে খ্যাত বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ থানার ঐতিহাসিক মহাস্থান গড়ে পালিত হচ্ছে পারস্য থেকে আগত হযরত শাহ সুলতান বলখী (রঃ) এর বিজয় দিবস বা বৈশাখের শেষ বৃহস্পতিবার। এদিনে হযরত শাহ সুলতান বিশ্বের পরাক্রমশালী হিন্দু রাজা পরশুরামকে পরাজিত করে এখানে ইসলামের পতাকা উড্ডয়ন করেছিলেন। এদিনটি পালনের জন্য মহাস্থান গড়ে দেশ ও দেশের বাইরের বিভিন্ন এলাকা থেকে দুই শ্রেণীর লোকের আগম ঘটে। এক শ্রেণীর লোক সাধু সন্ন্যাসীবেশী গাঁজা সেবক এবং তাদের অনুসারী। আর এক শ্রেণীর লোক ধর্মপ্রাণ মানুষ। তারা সারারাত জেগে নফল ইবাদত বন্দেগী করে এরাতটি অতিবাহিত করে। আমাদের প্রতিনিধি এস আই শফিক জানান, প্রতি বছর গাঁজাসেবীরা মহাস্থান এলাকাকে কলুষিত করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে আসছে। কিন্তু প্রশাসনের কঠোর হস্তেেপ গত কয়েক বছর পূর্ব থেকে তাদের আসা কিছুটা হলেও ব্যর্থ হয়ে গেছে। এরপরেও তারা মাযারের আশপাশের গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে গাঁজা সেবন করে থাকে। এবার শেষ বৈশাখী উপলে যারা গাঁজা, মদ, ফেন্সিডিল ও হেরোইন মজুদ করেছে তাদের সংখ্যাও কম নয়। তবে এদের উপর কড়া নজর থাকবে প্রশাসনের। এব্যাপারে আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভা শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মে কুলসুম সম্পার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি’র বক্তব্য রাখেন শিবগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদ রিজু। বিশেষ অতিথি বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার শিবগঞ্জ সার্কেল তানভির হাসান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আজহার আলী। আরো বক্তব্য রাখেন শিবগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ দীপক কুমার দাস, রায়নগর ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম সফি। প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদ রিজু বলেন, যেকোন অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সার্বক্ষনিক আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রস্তুত থাকবে। দোষী ব্যক্তিদের বিচার করার জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাৎনিক বিচার করে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার জন্য মহাস্থান ডাক বাংলোয় প্রশাসনের লোকজন অবস্থান করবে। আইন শৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রশাসনের প সকল ধর্মপ্রাণ মুসুল্লীদের নিকট সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে। এ এলাকাকে আরো পবিত্র ও আইন শৃংখলার উন্নতি ও পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত ও সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার লক্ষে অজুখানা, প্রসাব পায়খানা, বিদ্যুতের লোড শেডিং হলে উন্নতমানের জেনারেটরের ব্যবস্থা, জিয়ারতকারীদের রাতযাপনের জন্য রেস্ট হাউজ বা বাসা নির্মাণ করে আরো সৌন্দর্য করার জন্য জিয়ারতকারী, বিদেশী পর্যটকগণ ও এলাকাবাসী উর্ধ্বতন কর্তৃপরে নিকট জোর দাবী জানান।