বাংলাদেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের প্রাথমিক উদ্দেশ্য হল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার সমন্বয়, নিয়ন্ত্রণ, পরিচালনা এবং বিকাশ ঘটানো। সরকারি, বেসরকারি এবং আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার মানরক্ষা এবং নিয়ন্ত্রণও এই প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন সরকারকে উচ্চশিক্ষার সামগ্রিক বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে থাকে। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন অনুমোদিত সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ৫৮ টি, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ৬১ টি ও আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় ৩ টি সর্ব মোট ১২২ টি বিশ্ববিদ্যালয়।
বাংলাদেশে বিপুল পরিমাণ শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষা প্রদানের উদ্দেশ্যে বর্তমানে ৫৮ টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। স্বায়ত্ব-শাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচালিত এই সকল বিশ্ববিদ্যালয় সরকারের অর্থায়নে প্রতিষ্ঠা করা হয়। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের অধিভুক্তি বাংলাদেশ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশের একটি এফেলিয়েট বিশ্ববিদ্যালয়। বিদ্যার্থী তালিকাভুক্তি অনুসারে এটি বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম বিশ্ববিদ্যালয়। অধিভুক্ত কলেজগুলোতে অধ্যয়ন করে ২৮ লাখেরও বেশি ছাত্র-ছাত্রী। আর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ এর নীতি বাক্য হল সকল জ্ঞানীর উপরে আছেন এক মহাজ্ঞানী। শিক্ষাঙ্গন বা ক্যাম্পাস হলো সারাদেশে অধিভুক্ত কলেজসমূহ। ৫৮ টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ব্যতিক্রম হলো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় যার রেজিস্ট্রার ভবন আছে গাজীপুরে, স্হায়ী কোন ক্যাম্পাস নেই। এই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা হলো শ্রমদাস, দীর্ঘ ২৯ বছর যাবৎ বেতন বিহীন চলছে শিক্ষকদের জীবন, পারিবারিক, সামাজিক ও রাস্ট্রীয় ভাবে যারা অভুক্ত তারা কি করে মানসম্মত উচ্চশিক্ষায় অবদান রাখবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়হীনতায় এই বিশ্ববিদ্যালয় আজ জনগনের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ, জাতীর বিবেকের আদালতে অনেকেই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিলুপ্তি চায় অথবা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কার চায়, যদি তা না হয় তাহলে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে উচ্চ শিক্ষার আওতায় আনা যাবে না। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৫০০ শিক্ষকের সাংবিধানিক অধিকার দেয়া রাস্ট্র এড়িয়ে যেতে পারে না।