পরিবর্তন পরিবর্ধন, উদ্ভাবনী সংযোজন প্রতিবন্ধকতার বিয়োজন ,প্রয়োজনীয় সংস্করণ সচ্চতাকে আলিঙ্গন, বদলে যাও, বদলে দাও সেবার তরে আগ বাড়াও।দেশের অন্দর হবে সুন্দর যদি নির্ঝঞ্ঝাট গতিশীল সুরক্ষিত থাকে বন্দর।এমন সব নৈতিক ও দায়বদ্ধ অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করে দেশের সিংহদ্বার বেনাপোল কাস্টমস হাউজ গত দুই বছরে সেবার তীর্থস্থানে পরিনত হয়েছে বর্তমান কমিশনার বেলাল হোসেন চৌধুরী নেতৃত্বে ।নিশ্চিত হয়েছে সময়ানুগ এবং সহজ বানিজ্য সেবা ।যার যথার্থ স্বীকৃতি বেনাপোল কাস্টমস হাউজের কমিশনার মহোদ্বয়ের বিশ্বব্যাংক অ্যাওয়ার্ড পাপ্তি ও দেশ সেরা কাস্টমস কমিশনার হওয়ার অনন্য কীর্তি।বর্তমান কমিশনারের নেতৃত্বে রচিত হয়ছে সমৃদ্ধির বুনিয়াদ, অসংখ্য উদ্ভাবনের সাথে দেড় শতাধিক সংস্কার, অর্জন ও সফলতার নান্দনিক গল্প ।দেশের উন্নয়ন ও অভিযাত্রার অন্যতম অংশীদার বদলে যাওয়া বেনাপোল কাস্টমস হাউজকে নিয়ে আমাদের আজকের প্রতিবেদন। স্বাধীনতার নবীন সময় ১৯৭৪ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই চেকপোস্ট পরিদর্শনে এসে এটি উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন।দু’দেশের আমদানি-রপ্তানির পরিমান বৃদ্ধির কারণে ২০০০সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে পূর্ণাঙ্গ কাস্টমস হাউজ।গভীর দেশাত্মবোধ ,নিষ্ঠা ও পরিকল্পনায় দেশের জন্য বছরে সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব সংগ্রহ একই সাথে সহজ দ্রুত ও সুষম বানিজ্য নিশ্চিত করণে আছে কাস্টমস হাউজের সাড়ে তিনশ মানবসম্পদের প্রশাসনিক ব্যবস্থা ।
চেকপোস্ট : ক্রমবর্ধমান যাত্রীর সেবার মান বাড়াতে কমিশনার অব কাস্টমসের তাৎক্ষণিক নির্দেশে ২০১৮ সালের জানুয়ারী থেকে ব্যাপক সংস্কার পদক্ষেপ নেওয়া হয়।চেকপোস্টের বহির্গমন হলের কাস্টমস কার্যক্রম স্থল বন্দরের টার্মিনাল ভাবনে স্থানান্তর।সেবার পরিধি বাড়ানো ও গতিশীল করার লক্ষ্যে সকল পর্যায়ে কর্মকর্তা বৃদ্ধি এবং একজন ডেপুটি কমিশনার পদস্থকরণ। অবৈধ পাচার রোধে নো-ম্যান্স ল্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় ও প্যাসেন্জার টার্মিনালে ডিভাইডার স্থাপন। অত্যাধুনিক মেটাল ডিটেকটর ও সিসি ক্যামেরা এবং বহির্গমন হলে Retractable belt & stand দিয়ে ডিভাইডার স্থাপন যা নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরো জোরদার করেছে । ট্রাভেল ট্যাক্স সহজে গ্রহণের জন্য সোনালি ব্যাংক বুথ বৃদ্ধি ও টার্মিনাল ভাবনে স্থানান্তর । প্রটোকল কর্মকর্তা (মাইক-১৪)পদস্থকরণ তথ্যকনিকাসহ সর্বত্র ডিজিটাল এনাউন্সম্যান্ট চালু যাতে যোগাযোগ ও অভিযোগ সুবিধা সহজ হয়েছে ।
কার্গো_শাখা: কার্গো শাখার ব্যাপক সংস্কারের মাধ্যমে সকল আমদানি পন্যের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা হয়েছে ।রপ্তানি পণ্য দ্রুত ভারতে প্রেরণের জন্য ভারত সরকারের বন্ধ করে রাখা দুটি লিংক রোড এই প্রথম চালু করা হয়,৩৬ ধরনের পণ্য এই দুটো রোড দিয়ে গমনাগমন করছে ।এতে অভাবনীয় গতি পেয়েছি বাংলাদেশ ও ভারতের দ্বিপাক্ষিক বানিজ্য ।Benapass সফটওয়্যার চালুর মাধ্যমে আমদানি পণ্যবাহি গাড়ির তথ্য ডিজিটালী ধারণ করা হয়।এতে গাড়ী প্রবেশে খরচের পাশাপাশি সময় এক অষ্টমাংশ হ্রাস পায়।বেনাপোল কাস্টমস হাউজের এই উদ্ভাবন ভারত ও বাংলাদেশে ব্যাপক প্রশংসিত হয়।
পরীক্ষণ: দক্ষতা অর্জন,দ্রুত ও সঠিক পরীক্ষণে কর্মকর্তাদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ প্রদান । স্বনামধন্য আমদানিকারকের চালান” D”মার্ক দিয়ে দিনে দিনে খালাস।কর্মকর্তার সংখ্যা বৃদ্ধি,শেডভিত্তিক পরীক্ষণ কর্মকর্তা নিয়োগও আনস্টাফিং শাখা গঠন। #শুল্কায়ণ; দক্ষ জনবল বৃদ্ধি, শুল্কায়ণ, মূল্যায়ন ও অডিটের উপর নিয়মিত ইনহাউস প্রশিক্ষণ চলমান আছে।ফোল্ডার পদ্ধতি চালুর ফলে একটি ফাইল নিষ্পত্তির প্রয়োজনীয় সময় তিন দিন থেকে তিন ঘণ্টায় নেমে এসেছে ।মেনিফেস্টে D চিহ্নিত চালান দ্রুত শুল্কায়ণ করা হচ্ছে ।
ঝুঁকি ব্যাবস্থাপনা: ঝুঁকি ব্যাবস্থাপনার কার্যক্রম সুসম্পন্ন করার জন্য বিশেষ কিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম গোয়েন্দা ও নিবারক তৎপরতায় Investigation Research & Management (IRM)টিম গঠন IRM দলের প্রোফাইলিং ও নজরদারি;দিনের বিল অব এন্ট্রি দিনঃ যাচাই,গ্রুফভিত্তিক মনিটরিং, পণ্য ভিত্তিক শেড পৃথিকীকরণ,রাত্রীকালীন পেট্রোল টীম জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের সমন্বয়ে ডিসি কাস্টমসের নেতৃত্বে বিজিবি, পুলিশ ,আনসার ও র্যাবের সমন্বয়ে টাস্কফোর্স গঠন। #তথ্য_যোগাযোগ_ও_প্রযুক্তি: সসীম সামর্থ্যের সবটুকু দিয়ে অসীম প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করণ,নানাবিধ উদ্ভাবন ও সংস্কার ।স্টাফদের ডাটাবেস,কর্মকর্তাদের ছবি সম্বলিত ডাটাবেস প্রশাসনিক চাহিদা পূরণ করছে ।ডিজিটাল হাজিরা We Access,অত্যাধুনিক সিসি ক্যামেরা, ই- টেন্ডার পদ্ধতি । সহজ ও তড়িৎ যোগাযোগের পাশাপাশি বিশেষ প্রয়োজনে মহুর্তেই জরুরি সভা করা সম্ভব ভাইভার গ্রুফে, সম্পৃক্ত আছেন ২০০ কর্মকর্তা-কর্মচারী।ফেইসবুক পেইজে বর্তমান অনুসারীর সংখ্যা ৩৩ হাজার!শাখা ভিত্তিক ইমেইল গ্রুফ চালু, ইউটিউব চ্যানেল,ইন্স্টাগ্রাম,টুইটার, লিংকড-ইন একাউন্ট চালু।জরুরি তথ্য ও অর্জন জানতে Custom House,Benapass, Bangladesh ফেইসবুক পেইজ । নিবীড় নিরাপত্তা নিশ্চিত করণে ওয়াকিটকি যোগাযোগ ব্যবস্থা ও প্রক্সিমিটি গেইট চালু করা হয়।
বেনাপোল বন্দরের পরিধি বৃদ্ধি করণ: বন্দরে নতুন ৭৫ বিঘা জমি অধিগ্রহণ: আমদানিকৃত গাড়িসহ বিভিন্ন পণ্য রাখার সুব্যবস্থা করতে বর্তমান কমিশনারের উদ্যোগে স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষ ৭৫ বিঘা বা ২৫ একর জমি অধিগ্রহণ করেছে। ফলে মাল খালাসের আগে বিভিন্ন গাড়ি ও পণ্য বন্দরে রাখার অধিক সুবিধা পেয়েছেন আমদানিকারকরা। বড় বড় বহুজাতিক কোম্পানি বেনাপোল বন্দর দিয়ে তাদের আমদানি বাড়ানোর সুযোগ পেয়েছে।
কেমিক্যাল ল্যাবরেটরিতে আনা হয়েছে ব্যাপক সংস্কার : উচ্চতর রাসায়নিক পরীক্ষা ক্ষমতা সম্পন্ন H PLC ডিভাইসসহ মোট১৭ টি রাসায়নিক যন্ত্র স্থাপন,৩০ হাজার পণ্যের কেমিক্যাল টেস্টের সুবিধা সম্বলিত রমন স্পেক্ট্রোমিটার স্থাপন অন্যতম ল্যাব সংযোজন, ইতিমধ্যেই এই অত্যাধুনিক কাস্টমস হাউজ ল্যাবের উদ্বোধন করেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মাননীয় সদস্য নিরীক্ষা ও আধুনিকায়ন,জনাব খন্দকার আমিনুর রহমান। মিথ্যা ঘোষণায় আমদানিকৃ