আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে প্রার্থীদের যোগ্যতা-অযোগ্যতা নিয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে কমিশন। সম্প্রতি ইসির উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত পরিপত্র-২ এ বিষয়টি বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে। প্রার্থীদের যোগ্যতা-অযোগ্যতার ব্যাখ্যার এই কপি সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে। পরিপত্র-২ অনুযায়ী, স্থানীয় সরকার ইউনিয়ন পরিষদ আইন-২০০৯ এর ২৬(১) ধারা মতে কোনো ব্যক্তি চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সদস্য এবং সাধারণ ওয়ার্ডের সদস্য পদে নির্বাচন করতে যোগ্য হবে- যদি তিনি বাংলাদেশি নাগরিক হন; তার বয়স ২৫ বছর পূর্ণ হয়; চেয়ারম্যানের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের যেকোনো ওয়ার্ডের ভোটার তালিকায় তার নাম লিপিবদ্ধ থাকে এবং সংরক্ষিত ও সাধারণ ওয়ার্ডের সদস্যদের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ভোটার তালিকায় নাম লিপিবদ্ধ থাকে। যেসব কারণের অযোগ্য হবেন সেগুলো হলো- বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পরিত্যাগ করেন বা হারান; তিনি আদালত কর্তৃক অপ্রকৃতিস্থ ঘোষিত হন; তিনি আদালত কর্তৃক দেউলিয়া ঘোষিত হন এবং দেউলিয়া ঘোষিত হওয়ার পর দায় থেকে অব্যাহতি লাভ না করে থাকেন; তিনি নৈতিক স্খলনজনিত অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে অন্যূন দুই বছর কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন এবং মুক্তি পাওয়ার পর যদি পাঁচ বছর সময় অতিবাহিত না হয়ে থাকে; তিনি প্রজাতন্ত্রের বা পরিষদের অথবা অন্য কোনো স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কোনো লাভজনক পদে সার্বক্ষণিক অধিষ্ঠিত থাকেন; তিনি জাতীয় সংসদের সদস্য বা অন্য কোনো স্থানীয় কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বা সদস্য হন; তিনি বা তার পরিবারের উপর নির্ভরশীল কোনো সদস্য সংশ্লিষ্ট পরিষদের কোনো কাজ সম্পাদনের বা মালামাল সরবরাহের জন্য ঠিকাদার হন বা এর জন্য নিযুক্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অংশীদার হন বা সংশ্লিষ্ট পরিষদের কোনো বিষয়ে তার কোনো প্রকার আর্থিক স্বার্থ থাকে বা তিনি সরকার কর্তৃক নিযুক্ত অত্যাবশ্যক কোনো দ্রব্যের ডিলার হন; মনোনয়নপত্র দাখিলের তারিখে কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান হতে কোনো ঋণ মেয়াদোত্তীর্ণ অবস্থায় অনাদায়ী রাখেন: তবে শর্ত থাকে যে, কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান হতে গৃহীত নিজস্ব বসবাসের নিমিত্ত গৃহ-নির্মাণ অথবা ক্ষুদ্র কৃষি ঋণ এর আওতাভুক্ত হবে না। তিনি স্থানীয় সরকার পরিষদ কিংবা সরকার কর্তৃক নিয়োগকৃত নিরীক্ষা প্রতিবেদন অনুযায়ী পরিশোধের জন্য নির্ধারিত অর্থ সংশ্লিষ্ট স্থানীয় সরকার পরিষদকে পরিশোধ না করেন; তিনি পরিষদের তহবিল তসরুফের কারণে দণ্ডপ্রাপ্ত হন; তিনি এই আইনে বর্ণিত অপরাধে অথবা নির্বাচনী অপরাধ সংক্রান্ত অপরাধে সংশ্লিষ্ট আদালত কর্তৃক দোষী সাব্যস্ত হয়ে অন্যূন দুই বছর কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন এবং তার মুক্তি লাভের পর পাঁচ বছর অতিক্রান্ত না হয়ে থাকে; কোনো সরকারি বা আধা-সরকারি দপ্তর, স্বায়িত্বশাসিত সংস্থা, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ, সমবায় সমিতি ইত্যাদি হতে নৈতিক স্খলন, দুর্নীতি, অসদাচরণ, ইত্যাদি অপরাধে চাকুরিচ্যুত হয়ে পাঁচ বছর অতিক্রান্ত না হয়ে থাকে; তিনি বিগত পাঁচ বছরের মধ্যে যে কোনো সময়ে দণ্ডবিধির ধারা ১৮৯ ও ১৯২ এর অধীন দোষী সাব্যস্ত হয়ে সাজাপ্রাপ্ত হন; তিনি বিগত পাঁচ বছরের মধ্যে যে কোনো সময়ে দণ্ডবিধির ধারা ২১৩, ৩৩২, ৩৩৩ ও ৩৫৩ এর অধীন দোষী সাব্যস্ত হয়ে সাজাপ্রাপ্ত হন; তিনি কোনো আদালত কর্তৃক ফেরারি আসামি হিসেবে ঘোষিত হন; এবং জাতীয় বা আন্তর্জাতিক আদালত বা ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক যুদ্ধাপরাধী হিসেবে দোষী সাব্যস্ত হন।