খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, চাল ও গমের দাম কমাতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আজ থেকে প্রভাব পড়তে শুরু করেছে অর্থাৎ দাম কমতে শুরু করেছে। কিন্তু ‘সংকটকালে মন্ত্রী মুখে কুলুপ এঁটে আছেন’ সংবাদমাধ্যমের এমন ভাষা আমাকে মানসিকভাবে আহত করে।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে ঢাকায় নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ম্যানতিতস্কর সঙ্গে বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন খাদ্যমন্ত্রী।
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র বলেন, অভিযান সবসময়ই চলবে। সমস্যা থাকবেই, সেই সুযোগে কারসাজি মেনে নেওয়া যায় না। চলতি মাস শেষে ও সামনের মাসের শুরুতে বাজার আরও বোঝা যাবে। কারণ বেশিরভাগ মানুষের বেতন ওই সময়ে হয়।
তিনি বলেন, গম মূলত রাশিয়া থেকেই কেনা হয়। রাশিয়ায় অধিকাংশ গম উৎপন্ন হয় মূলত জুন-জুলাইয়ের দিকে। সেক্ষেত্রে আগামী অর্থবছরেই কিনতে হবে, এপ্রিলে প্রস্তুতি শুরু হবে। তবে চাইলে এখনই চাহিদামতো আমাদানি করা যাবে।
খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, চলমান শীতে, বিশেষ করে তীব্র কুয়াশায় বীজতলা নষ্ট হচ্ছে এবং ধান শুকাতে ঝামেলা হচ্ছে। আজ থেকে চালের দাম নিয়ন্ত্রণে ৮ বিভাগে অভিযান চালানো হবে। এ সময় কোনো মজুদ পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।