একটি মহল চক্রান্ত করে মূল্যস্ফীতি ঘটায় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, এটি কমাতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধু এভিনিউ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের যৌথ সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশকে ভিক্ষুকের দেশে পরিণত করেছিল বিএনপি-জামায়াত। আওয়ামী লীগ সে দুর্নাম দূর করেছে। বিএনপি আমলে কোনো উন্নয়ন হয়নি। দেশকে এগিয়ে নিতে আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় আসা প্রয়োজন ছিল। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দোষারোপ বন্ধ করতে দলের ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নির্দেশ দেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিজেদের দ্বন্দ্বের কারণে বিএনপি যাতে সুযোগ নিতে না পারে সেজন্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সজাগ থাকতে হবে। নির্বাচন যেন না হয়, অনেক চক্রান্ত ছিল। চক্রান্ত মোকাবিলা করে নির্বাচন করতে হয়েছে। বিএনপির দুই কাজ, দুর্নীতি ও মানুষ খুন করা। তাদের দলীয় প্রধানও দুর্নীতির দায়ে কারাদণ্ড পেয়েছেন। তবে আমাদের দেশকে এগিয়ে নিতে কাজ করতে হবে। কারণ জনগণের ভোটে আমরা সরকার গঠন করেছি। জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস আমরা পেয়েছি। এই বিশ্বাসের মর্যাদা দিয়ে সবাইকে কাজ করতে হবে।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা দ্রব্যমূল্য নিয়ে কাজ করছি। মূল্যস্ফীতি কমিয়ে এনেছি। এরপরেও কিছু মানুষ চক্রান্ত করে দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়াচ্ছে। এসব নিয়ে আমরা কাজ করছি। আমরা ফ্যামিলি কার্ড করে দিচ্ছি। এর সুফল পাচ্ছেন সীমিত আয়ের মানুষ। এ ছাড়া চাকরিজীবীদের বেতন-ভাতা বাড়ানো হয়েছে। উন্নয়নের যে কাজ চলছে, তা শেষ করে এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বিভিন্ন সময় আঘাত এসেছে। সব কিছু অতিক্রম করে এ পর্যায়ে আসতে পেরেছি। স্বাধীনতার মূল চেতনা কখনও ধ্বংস হতে পারে না। কোনো আত্মত্যাগ বৃথা যায় না। আ.লীগ সরকারে আসার পর বিদেশে দেশের ভাবমূর্তি পরিবর্তন হয়েছে। এখন বাংলাদেশকে বলা হয় উন্নয়নের রোল মডেল।
প্রসঙ্গত, ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ২২৩টি আসন পেয়ে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পায় ৬২টি আসন। জাতীয় পার্টি ১১ ও কল্যাণ পার্টি জিতেছে ১টি আসনে। এ ছাড়া নৌকা প্রতীক নিয়ে ওয়ার্কার্স পার্টি ও জাসদ একটি করে আসনে জয় পায়। এরপর ৯ জানুয়ারি নির্বাচনের ফলের গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। গেজেট প্রকাশের পরদিন ১০ জানুয়ারি শপথ নেন নবনির্বাচিত এমপিরা। আর এমপিদের শপথ গ্রহণের একদিন পর ১১ জানুয়ারি শপথ নেন মন্ত্রিসভার সদস্যরা। ওইদিন বিকেলেই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের অনুমোদন দিয়ে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।