আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, আগামী সংসদে চাইলে স্বতন্ত্ররা বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করতে পারে। যারা নির্বাচন করেছে, কারো বিরুদ্ধে যেন কোন ক্ষোভ না থাকে। যেহেতু জনগণ ভোট দিয়েছে তারা নির্বাচিত হয়েছে। কোন ধরনের গোলমাল করলে সেই সুযোগ ষড়যন্ত্রকারীরা নেবে। তাই কোন ধরনের সংঘাত দেখতে চাই না।
মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করায় গণভবনে আয়োজিত শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭৫ সালের পর বাংলাদেশে যত নির্বাচন হয়েছে তার মধ্যে এবারের নির্বাচন হয়েছে সবচেয়ে স্বচ্ছ এবং অংশগ্রহণমূলক। দেশে ৭৫-এর পর নির্বাচনের নামে ভোট চুরি হতো।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলেই জনগণ আমাদের ওপর আস্থা রেখেছে, জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। জনগণের ভোট বন্দি ছিল ক্যান্টনমেন্টে, সেখান থেকে জনগণের হাতে এনে দিয়েছি।
তিনি বলেন, নির্বাচনে কোনো দলের থাকা না থাকায় গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে না। যারা নির্বাচন নিয়ে খেলতে চেয়েছিল তারা ব্যর্থ হয়েছে। যারা নির্বাচনে আসেনি তাদের নেতাকর্মীরা হতাশায় ভোগে। এবারের নির্বাচনে তারা আর বলতে পারবে না, যেটা তারা বলেই বেড়াতো, যে রাতে সিল মারবে… এবার বলার সুযোগ নেই। জনগণ বিএনপির ভয়াল রুপ দেখে তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, যেমনভাবে জিয়াউর রহমান হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে, তেমনি খালেদা ও তারেক হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে। লন্ডন থেকে এদেশের মানুষ পোড়ানোর হুকুম দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, চাইলে স্বতন্ত্ররা বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করতে পারে। যারা নির্বাচন করেছে, কারো বিরুদ্ধে যেন কোন ক্ষোভ না থাকে। যেহেতু জনগণ ভোট দিয়েছে তারা নির্বাচিত হয়েছে। কোন ধরনের গোলমাল করলে সেই সুযোগ ষড়যন্ত্রকারীরা নেবে। তাই কোন ধরনের সংঘাত দেখতে চাই না।