৭ জানুয়ারির নির্বাচনকে গণতন্ত্রের কফিনে শেষ পেরেক হিসেবে আখ্যা দিয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেছেন, জনগণ এ তামাশার নির্বাচন বর্জন করেছে। আন্দোলন চলবে জানিয়ে তারা বলেন, বিকেলে নতুন কর্মসূচি ঠিক করা হবে।
এ সময় অবিলম্বে ডামি নির্বাচনের ডামি ফলাফল বাতিল ও সরকারকে পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়ে দেশকে সংকট থেকে রক্ষার দাবি জানান নেতারা।
মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে সেগুনবাগিচার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে নির্বাচন-পরবর্তী গণতন্ত্র মঞ্চের সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন মঞ্চের নেতারা।
গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক ও গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ৪২০ নির্বাচনকে জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে। ৭ জানুয়ারি যা ঘটেছে তা গণতন্ত্রকে ধ্বংসের আরেকটি পথ। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নামে ভয়ংকর তামাশা হয়েছে। যে নির্বাচনী ট্রেনের কথা বলা হচ্ছে তা দেশকে ধ্বংসের ট্রেন বলেও মনে করেন তিনি।
সাকি বলেন, ভোটকেন্দ্রে উপস্থিতির কম হার এই সরকারের বিরুদ্ধে মানুষের পুঞ্জিভূত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে একদলীয় শাসন প্রকারান্তরে বাকশাল। আওয়ামী লীগ ও ডামি আওয়ামী লীগের এ নির্বাচনের বৈধতা খোঁজার সুযোগ নেই। জনগণ এটা প্রত্যাখ্যান করেছে।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও গণতন্ত্র মন্ত্রের অন্যতম নেতা সাইফুল হক বলেন, বিরোধী দল ভাঙতে ব্যর্থ হয়ে ডামি প্রার্থী দিয়েও ভোটকেন্দ্রে ভোটার আনতে ব্যর্থ হয়েছে এই সরকার। প্রহসনের নির্বাচনের ষোলোকলা পূর্ণ করে তথাকথিত পর্যবেক্ষক দিয়ে বিভ্রান্ত করার চেষ্টাও ব্যর্থ হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন প্রমুখ।