‘ডামি নির্বাচন’ বাতিল করে জাতীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে রাজধানীতে বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ।
সোমবার (৮ জানুয়ারি) বিকেলে পুরানা পল্টনস্থ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জরুরি সভায় এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
যেখানে আগামীকাল মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) বিকেল ৩টায় বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি পালন করা হবে বলে জানানো হয়।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, দেশের জনগণ সরকারের প্রহসনের ডামি নির্বাচনকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। জনগণ সরকারের প্রহসনের নির্বাচনে ভোট দেয়নি। যে পরিমাণ ভোট পড়েছে তা সরকারের জন্য চপেটাঘাত। নগণ্যসংখ্যক ভোটকে কারসাজি করে বাড়িয়ে দেখানো হয়েছে। ডামি নির্বাচনে সাজানো ফল দেখিয়ে তা গ্রহণযোগ্য করার ব্যর্থ চেষ্টা কোনো কাজে আসবে না। দলান্ধ ও দলবাজ নির্বাচন কমিশন অনেক নাটকীয়তার পরে ৪০ ভাগ ভোট কাস্টের ঘোষণা দিলেও প্রকৃতপক্ষে ১০ পার্সেন্ট ভোটও কাস্ট হয়নি। তাও ব্যাপক দলীয় নেতাকর্মীদের জাল ভোটের মাধ্যমে। কাজেই এটা কোনো গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হতে পারে না। প্রহসনের এই ডামি নির্বাচন বাতিল করে অবিলম্বে জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে।
মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, জনগণ ভোট বর্জন করে সরকারকে উচিত জবাব দিয়েছে। কাজেই ডামি নির্বাচন বাতিল করে জনগণের প্রাণের দাবি জাতীয় সরকারের অধীনে নতুন তপশিল ঘোষণা করে একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে দেশকে ভয়াবহ বিপর্যয়ের কবল থেকে রক্ষা করতে হবে। তিনি জনগণকে নতুন উদ্যমে আন্দোলন সংগ্রাম গড়ে তোলার আহবান জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারী মহাসচিব হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, কৃষিবিদ আফতাব উদ্দিন, কেএম আতিকুর রহমান, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মাওলানা লোকমান হোসেন জাফরী, আলহাজ হারুন অর রশিদ, মাওলানা মোহাম্মদ নেছার উদ্দিন, মাওলানা এবিএম জাকারিয়া, আলহাজ্ব আব্দুর রহমান, অ্যাডভোকেট শওকত আলী হাওলাদার, অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, মাওলানা খলিলুর রহমান, জিএম রুহুল আমীন, মাওলানা আরিফুল ইসলাম, আব্দুল আউয়াল মজুমদার প্রমুখ।
মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, সরকারের জবরদস্তি, ভয়ভীতি ও লোভ-লালসা উপেক্ষা করে অধিকাংশ জনগণ ভোট বর্জন করে সরকারকে সতর্ক সংকেত দেখিয়েছে। জনমত উপেক্ষা করে সরকার গঠিত হলে রাজনৈতিক সংকট তীব্র হবে।