দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আগামী ৭ জানুয়ারি রবিবার সারা দেশে নির্বাচনকালীন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। তার আগে শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। এ দুদিন সাপ্তাহিক ছুটি ও রবিবারের সাধারণ ছুটিসহ টানা তিন দিনের ছুটিতে থাকছে সরকারি চাকরিজীবীরা।
সচিবালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কর্মকর্তাদের অনেকেই এই তিন দিনের সঙ্গে আরও দু-একদিন ছুটি নিয়ে টানা ৪/৫ দিন ছুটি কাটানোর সুযোগ নিচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার সচিবালয় ঘুরে দেখা গেছে, অনেক দপ্তরই ফাঁকা। আবার অনেকে অফিসে আসলে মধ্যাহ্ন ভোজের পরপরই অফিস ত্যাগ করেছেন। অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী বৃহস্পতিবার ছুটি নিয়েছেন। ফলে তারা টানা চার দিন ছুটি ভোগ করবেন। আবার অনেকে ভোটের পরদিন আগামী সোমবার ছুটি নিয়েছেন। তারা আজ শুক্রবার থেকে টানা চার দিন ছুটি ভোগ করবে।
গত ২৮ ডিসেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করে জানিয়েছে, ৭ জানুয়ারি ভোটের দিন সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস, প্রতিষ্ঠান, সংস্থায় কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভোটাধিকার প্রয়োগ ও ভোটগ্রহণের সুবিধার্থে সারাদেশে নির্বাচনকালীন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হলো।
অ্যালোকেশন অব বিজনেস অ্যামং দ্য ডিফারেন্ট মিনিস্ট্রিরিজ অ্যান্ড ডিভিশনস এর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অংশে ৩৭ নম্বর ক্রমিকে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের চাহিদা মোতাবেক এই ছুটি ঘোষণা করা হয় বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে। ৭ জানুয়ারি সারা দেশে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ চলবে।