গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার জনগণকে রাস্তায় নামতে দিচ্ছে না। জনগণ যেদিন রাস্তায় নামতে পারবে সেদিনই গণঅভ্যুত্থান ঘটবে। আমরা জনগণকে সাথে নিয়ে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে এই সরকারকে হটিয়ে দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করব।
বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর ডাকে ৭ জানুয়ারির ভোট বর্জন এবং অসহযোগ আন্দোলনের পক্ষে জনমত গড়তে গণসংযোগ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বুধবার (৩ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর বাংলামোটরে গণঅধিকার পরিষদ আয়োজিত পথসভায় এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে, কারওয়ানবাজার পেট্রোবাংলার সামনে থেকে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ শুরু করে দলটি। এরপর কারওয়ানবাজার ও বাংলামোটর মোড়ে সংক্ষিপ্ত পথসভা করে।
গণঅধিকার পরিষদের নেতারা অভিযোগ করেন, বাংলামোটর মোড়ে রূপায়ন টাওয়ারের নিচে পথসভা শেষে ইস্কাটন রোডের দিকে গণসংযোগ শুরু করলে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ক্যাম্পের কর্মীরা এসে স্লোগান ও লিফলেট বিতরণ বন্ধ করতে বলে। মুহূর্তে অন্যরা এসে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর ও সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁনের গাড়িতে হামলা করতে উদ্যত হয়। তখন গাড়ির পিছনে থাকা গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা এগিয়ে আসলে তাদের মেরে আহত করে নির্বাচনী ক্যাম্পের কর্মীরা। সাংবাদিকরা ভিডিও করতে গেলে সাংবাদিকদের দিকেও তেড়ে যায় তারা।
জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে নুর বলেন, আপনারা এই একতরফা নির্বাচন বর্জন করুন। ৭ তারিখ কেউ ভোট দিতে কেন্দ্রে যাবেন না। প্রশাসনসহ অন্যদের প্রতি অনুরোধ, আপনারা এই একতরফা নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করে নিজেদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আনবেন না। এই একতরফা নির্বাচনে জড়িতদের ইউরোপ-আমেরিকা নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে।
গণঅধিকার পরিষদের এই অংশের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন বলেন, আমরা অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করছি। আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন বন্ধ করার নানা পাঁয়তারা চলছে। কিন্তু জনগণের আন্দোলন বন্ধ করার এখতিয়ার কারও নেই। আমরা জনগণের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, আগামী ৭ জানুয়ারি ভোটকেন্দ্রে যাবেন না, প্রহসনের নির্বাচনে অংশ নিবেন না।
গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমানের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন- দলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান মামুন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি নাজিম উদ্দিন, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি তারিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদীব, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনুজুর মোর্শেদ মামুন, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা সম্পদ।
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন- দলের উচ্চতর পরিষদের সদস্য শাকিল উজ্জামান, শহিদুল ইসলাম ফাহিম, আব্দুজ জাহের, জসিম উদ্দিন আকাশ, ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক ইলিয়াস মিয়াসহ দলের নেতাকর্মীরা।