মহাস্থান নিউজ:
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলার রায় আগামীকাল বুধবার (২ আগস্ট)।
যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মো. আসাদুজ্জামান গত বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) এ মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন।
দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, তারা সন্দেহাতীতভাবে তারেক-জোবায়দার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন। তাই তাদের অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং সম্পদের তথ্য গোপন করার জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি দেয়া উচিত।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা গয়েশ্বরের ওপর হামলার ঘটনায় যা বললো মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (ভিডিও)
অবৈধ সম্পদ অর্জন ও এর তথ্য গোপন করার জন্য আইনে যথাক্রমে সর্বোচ্চ ১০ বছর ও ৩ বছরের সাজার বিধান আছে।
এর আগে আদালত মামলার অভিযোগকারীসহ বাদীপক্ষের ৪২ জন সাক্ষীর জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
মামলার অভিযোগপত্রে তারেক ও জোবায়দাকে পলাতক দেখানো হয়েছে। এই দম্পতি ২০০৮ সাল থেকে লন্ডনে আছেন।
গত ১৩ এপ্রিল একই আদালত তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এর আগে আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থনের অনুমতি চেয়ে এক আইনজীবীর আবেদন খারিজ করে দেন আদালত। গত বছরের ১ নভেম্বর এই আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
তারেক আরও ১৫টি মামলার আসামি, যার বেশির ভাগই ২০০৭ ও ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দায়ের করা। তবে জোবায়দাকে শুধুমাত্র এই একটি মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে।
গত বছরের ২৬ জুন, হাইকোর্ট তারেক ও জোবায়দাকে ‘পলাতক’ ঘোষণা করে এবং দুর্নীতির মামলা দায়েরকে চ্যালেঞ্জ করে তাদের রিট আবেদন খারিজ করে দেন। সেই সঙ্গে মামলার স্থগিতাদেশও প্রত্যাহার করে নেন হাইকোর্ট।
অবৈধ উপায়ে ৪ কোটি ৮২ লাখ টাকার সম্পদ অর্জন এবং সম্পদ বিবরণীতে ২ কোটি ১৬ লাখ টাকার তথ্য গোপন করার অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর কাফরুল থানায় তারেক, জোবায়দা ও জোবায়দার মা সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে মামলাটি করে দুদক। তদন্ত কর্মকর্তা ২০০৯ সালের ৩১ মার্চ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দায়ের করেন।
তবে জোবায়দার মায়ের বিরুদ্ধে বিচার কার্যক্রম বাতিল করা হয়।
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় তারেক যাবজ্জীবন সাজা পেয়েছেন। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলাসহ আরও দুটি মামলায় তার সাজা হয়েছে।