মহাস্থান খেলা:
ইন্টার মায়ামিতে অভিষেকের পর থেকে দারুণ সময় পার করছেন লিওনেল মেসি। তাই তো নতুন ঠিকানায় ফর্মের তুঙ্গে থাকা আর্জেন্টাইন অধিনায়কের হাস্যোজ্জ্বল ছবিই সামনে ভেসে আসছে। তবে আমেরিকান এই ক্লাবে নাম লেখানোর আগপর্যন্ত বার্সেলোনায় ফেরার অনেক ইচ্ছা ছিল বিশ্বকাপজয়ী এই মহাতারকার। নানা কারণে সেটি আর হয়ে ওঠেনি। তবে বিদায়ী সংবর্ধনা নিতে আবারও কাতালান ডেরায় পা রাখবেন মেসি। এ বিষয়ে কথা বলেছেন মায়ামির সহ-মালিক জর্জ মাস।
২০২১ সালে চোখের জলে বার্সা ছেড়ে পিএসজিতে যোগ দিয়েছিলেন মেসি। কিন্তু তাকে বিদায় জানানোর সুযোগ পাননি ক্লাবটির সমর্থকরা। তবুও বেশিরভাগ ভক্তেরই প্রত্যাশা ছিল, ফের ফরাসি শিবির থেকে ক্যাম্প ন্যু-তে মেসি পা রাখবেন। কিন্তু অতীতের তিক্ত অভিজ্ঞতা ও চাপমুক্ত থাকতে তিনি মায়ামিকে বেছে নেন। এর মধ্য দিয়ে পিএসজিতে কাটানো তার অস্বস্তির দুটি মৌসুমেরও ইতি ঘটে।
টেইলর টুয়েলম্যানের পডকাস্ট অনুষ্ঠান ‘অফসাইডে’ যুক্ত হয়ে মেসির বার্সা সফর নিয়ে জানিয়েছেন জর্জ মাস, ‘কিছু সময়ের জন্য মেসি ক্যাম্প ন্যুতে যাবেন। আমি জানি না এটি কী ধরনের ম্যাচ হবে। হতে পারে প্রীতি কিংবা বিদায়ী ম্যাচ। গ্রীষ্মে গ্যাম্পার ট্রফির ম্যাচ খেলে বার্সেলোনা। কিন্তু সেটি হতে পারে নতুন কোনো ন্যু ক্যাম্পে, যেহেতু আগের স্টেডিয়ামের সংস্কার কাজ চলছে। আশা করি লিওনেল মেসি ভালোভাবে বিদায় নিতে পারবে।’
মায়ামিতে যোগ দেওয়ার আগে মেসি সেখান থেকে লোনে বার্সায় খেলতে যাওয়ার গুঞ্জন ছিল। কিন্তু এমএলএস ক্লাবটির সঙ্গে তার চুক্তিতে ওই বিষয়ে কিছু বলা হয়নি, ফলে কাতালানদের হয়ে মেসিকে ফের মাঠে দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। বিষয়টি মনে করিয়ে দিয়েছেন মাস, ‘সে বার্সেলোনার হয়ে খেলতে যাবে না। কিংবা তাকে সেখানে লোনেও পাঠানো হচ্ছে না। এর কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে হ্যাঁ, সে অবশ্যই উপযুক্ত বিদায় পাওয়ার অধিকার রাখে। সেক্ষেত্রে আমাদের সামর্থ্যের মধ্যে তাকে সর্বোচ্চ সুবিধা ও সহায়তা দেব।’
পিএসজির সঙ্গে মেসির চুক্তির মেয়াদ শেষ হয় গত ৩০ জুন। এর আগেই অবশ্য বার্সার সঙ্গে তার এজেন্টদের দফায় দফায় বৈঠক এবং সৌদি ক্লাবের রেকর্ডদামের প্রস্তাব পেয়েছিলেন। কিন্তু সেসবকে পাশ কাটিয়ে তিনি বেছে নেন ডেভিড বেকহামের মায়ামিকে। যেখানে তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন সাবেক বার্সা সতীর্থ সার্জিও বুসকেটস ও জর্দি আলবা।
এখন পর্যন্ত অনুষ্ঠিত মায়ামির দুই ম্যাচে তিনটি গোল করেছেন মেসি। পাশাপাশি করিয়েছেন এক গোল। তার উপস্থিতির পরই বদলে গেছে দলের পরিবেশ। অথচ এর আগে টানা ১১ পরাজয়ে তারা জয়ের স্বাদ ভুলতে বসেছিল। সতীর্থদের মাঝে তিনি কেমন উদ্দীপনা জাগিয়েছেন সেটি আর বলার অপেক্ষা রাখে না। সেই ধারাবাহিকতায় মায়ামি সতীর্থদের জন্য বিশেষ উপহারও পাঠিয়েছেন মেসি।