মহাস্থান নিউজ:
বগুড়ায় ইজিবাইক হারিয়ে প্রায় নিঃস্ব হওয়া হায়দার আলীর পাশে নগদ অর্থ ও খাদ্যসামগ্রী নিয়ে দাঁড়িয়েছে জেলা পুলিশ। এ সময় তার চুরি যাওয়া ইজিবাইক উদ্ধারের প্রতিশ্রুতিও দেয় পুলিশ। শনিবার বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে বগুড়া পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এই সহায়তা দেয়া হয়।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টার দিকে শহরে সাতমাথায় প্রবেশ করায় হায়দার আলীর ইজিবাইকের সিট খুলে নিয়ে জব্দ করে ট্রাফিক পুলিশ। পরে শহরের গোহাইল রোডে ইজিবাইক রেখে তিনি ট্রাফিক পুলিশের বক্সে যান সিট ছাড়িয়ে নিতে। কিন্তু সিট ফেরত না পেয়ে হায়দার ফিরে এসে দেখেন ইজিবাইক নেই। পরে বিভিন্ন জায়গায় খুঁজেও ইজিবাইকটি পাননি।
বিষয়টি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে উঠে আসার পর তাকে সহযোগীতার উদ্যোগ নেয় জেলা পুলিশ।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) স্নিগ্ধ আখতার বলেন, ‘বৃহস্পতিবার দুপুরে গোহাইল রোড থেকে হায়দারের ইজিবাইক চুরি হয়। এ ঘটনায় গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর তার মানবিক আবেদন পুলিশের নজরে আসে। এ জন্য জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে হায়দারকে নগদ ১০ হাজার টাকা ও খাদ্য সামগ্রী উপহার দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া চুরির ঘটনায় শনিবার বগুড়া সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অপরাধীদের শনাক্তে কাজ করা হচ্ছে। থানা পুলিশের পাশাপাশি জেলা গোয়েন্দা পুলিশ গুরুত্বসহ ইজিবাইক উদ্ধারে কাজ করছে। হায়দারের সবরকম মানবিক আবেদনে পুলিশ কাজ করবে। এছাড়াও দ্রুত সময়ে তার ইজিবাইক উদ্ধার ও জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হবে।’
সহযোগীতা পেয়ে হায়দার আলী বলেন, আমার খারাপ সময়ে পুলিশ যেভাবে পাশে দাঁড়িয়েছে তার জন্য কৃতজ্ঞ। ইজিবাইক চুরির পর থেকে স্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তবে তারা ইজিবাইক উদ্ধার করে দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
হায়দার আলী আরও বলেন, জমিজমা ও ধারদেনা করে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকায় গত রোববার ওই ইজিবাইক কিনেছিলাম। এখন আমি নিঃস্ব। তবে ওনারা (পুলিশ কর্মকর্তা) আমাকে যে সহযোগিতা করেছেন তাতে আপাতত কিছুদিন পরিবার নিয়ে খেয়ে পরে থাকতে পারবো।
হায়দার আলীকে সহায়তা দেয়ার সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আব্দুর রশিদ ও (ডিএসবি) মোতাহার হোসেন, সদর থানার তদন্ত পরিদর্শক মো. শাহিনুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।