মহাস্থান নিউজ:
সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে মোট ১৯০টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হবে। এর মধ্যে ১৩২টি কেন্দ্রই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। যদিও নির্বাচন কমিশন ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ না বলে এগুলোকে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ বলে থাকে। এসব কেন্দ্রে নেয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
মঙ্গলবার সকাল থেকে কেন্দ্রে কেন্দ্রে সরঞ্জাম পাঠানো শুরু হয়েছে। সকালে নগরের আবুল মাল আব্দুল মুহিত কমপ্লেক্স থেকে সরঞ্জাম বিতরণ শুরু করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ফয়সল কাদের। এর আগে এসব কেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন সম্পন্ন হয়।
রিটার্নিং কর্মকর্তা ফয়সল কাদের বলেন, ‘আমরা নির্বাচনের সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। ১৯০ কেন্দ্রের এক হাজার ৩৬৪টি ভোটকক্ষে ১৬ শ’র বেশি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। আর গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে নেয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা।’
তিনি বলেন, ‘ভোট শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। নির্বাচনে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, আনসার এবং আর্মড পুলিশ নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে।’
ফয়সল কাদের আরও বলেন, ‘এখন পর্যন্ত নির্বাচনের পরিবেশ ভালো। তবে বৈরী আবহাওয়া একটু সমস্যার সৃষ্টি করেছে।’
আগামীকাল বুধবার এই সিটিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সিলেটে এবারই প্রথম ইভিএমে (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) ভোট হচ্ছে। বিএনপির বর্জন করা এই নির্বাচনে মেয়র পদে আটজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়া ৪২টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ২৭৩ জন এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৮৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সিলেটে মোট ভোটার সংখ্যা চার লাখ ৮৭ হাজার ৭৫৩ জন।
সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইমরুল হাসান জানান, ১৯ জুন রাত ১২টার পর থেকে নগরের ৪২টি ওয়ার্ডে জেলা প্রশাসনের ৪২জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ৪২টি টিম নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন ঠেকাতে, নির্বাচনী পরিবেশ রক্ষায় এবং বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে কাজ শুরু করেছে। এর বাইরেও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের আরও ১০টি টিম কাজ করছে। যাদের মধ্যে ওয়ার্ড ভাগ করে দেয়া হয়েছে। প্রতিটি টিমের সঙ্গে এক প্লাটুন বিজিবি রয়েছে। ভোটের পরের দিন পর্যন্ত এই টিমগুলো মাঠে থাকবে।
এদিকে নির্বাচনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে মঙ্গলবার সকালে পুলিশ লাইন্সে সংবাদ সম্মেলন করে সিলেট মহানগর পুলিশ। এতে জানানো হয়, ভোটের দিন নিরাপত্তায় মাঠে থাকবেন আড়াই হাজার পুলিশ সদস্য। পুলিশের ৫২টি মোবাইল টিম, ১৫টি স্ট্রাইকিং ফোর্স, ছয়টি রিজার্ভ ফোর্স এবং প্রত্যেক জুডিশিয়াল ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে ফোর্স থাকবে।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) সুদীপ দাস বলেন, ‘কয়েকটি বিষয়কে সামনে রেখে গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, কেন্দ্রে নিরাপত্তাবেষ্টনী না থাকা, কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে সহিংসতার শঙ্কা, যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না থাকা কেন্দ্র, অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার শঙ্কাসহ নানা দিক। কেন্দ্রগুলোর দূরত্ব বুঝে চারজন, ছয়জন ও সাতজনের ফোর্স মোতায়েন থাকবে।’