বগুড়ার শিবগঞ্জে চলতি এসএসসি পরীক্ষা হলে স্মার্ট ফোন (মোবাইল) ব্যবহারের দায়ে পাঁচ পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার ও ১১ শিক্ষককে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার উপজেলার গুজিয়া গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রে।
জানা যায়, ২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষার ২য় দিনে বাংলা দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে ওই কেন্দ্রের শিক্ষকদের সহযোগিতায় এমন অসাদুপায় অবলম্বন করার দায়ে ১১ জন কক্ষ পরিদর্শককে অব্যাহতি ও ৫ পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
অব্যাহতি প্রাপ্ত কক্ষ পরিদর্শকরা হলেন, উপজেলার অভিরামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক পলাশ চন্দ্র রায়, ভরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের আয়শা সিতারা, আব্দুল হাকিম, চন্ডিহারা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের কামরুল, হাবিবা, দেউলী জহুরা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শফিকুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, অঞ্জলী রানী রায়, গাংনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের উজ্জ্বল কুমার, আব্দুস সামাদ ও মোকামতলা উচ্চ বিদ্যালয়ের মফিজুল ইসলাম। অসাদুপায় অবলম্বন ও স্মার্ট ফোন ব্যবহারের দায়ে ধাওয়াগীর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩জন, গুজিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ১জন ও মহাব্বত নন্দীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ১জন পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়। তাদের রোল নং হলো ১৮৪০৬১, ১৮৪১১৭, ১৮৪১৪১ ১১৩৮৭৮ ও ৪৭৮৮৮ ।
ওই কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিব তোজাম্মেল হক বলেন, পরীক্ষা শুরু হওয়ার পূর্বে প্রতিদিন যথারীতি পরীক্ষার্থীদের তল্লাশী করে কেন্দ্রে প্রবেশ করানো হয়। পরীক্ষার্থীরা স্মার্ট ফোন নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করার বিষয়টি খুবই দুঃখজনক।
এব্যপারে সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাসনিমুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা ঐ ১১ কক্ষ পরিদর্শকের সহযোগিতায় স্মার্টফোন দ্বারা প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে উত্তরপত্রের জন্য ইন্টারনেট ব্যবহার করে বাহিরে পাঠিয়ে দেয়। প্রশ্নপত্র পেয়ে বাহির থেকে উত্তরপত্র পরীক্ষার হলে সরবরাহ করা হয়। কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা পরিতোষ কুমার বিষয়টি টের পেয়ে ৫টি কক্ষ থেকে পরীক্ষার্থীদের তল্লাশি করে ৫টি স্মার্ট ফোন পাওয়ায় তাদের বহিষ্কার করা হয় এবং তাদেরকে সহযোগিতার জন্য ১১জন কক্ষ পরদির্শককেও পরীক্ষার চলতি দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়। কেন্দ্র সচিব তোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।