দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক। বিবৃতিতে ফলকার তুর্ক সদ্য নির্বাচিত সরকারের প্রতি গণতন্ত্র, মানবাধিকার, বিরোধীদের গ্রেপ্তার, অন্তর্ভুক্তিমূলক গণতন্ত্রসহ নানা বিষয় উল্লেখ করেছেন।
সোমবার (৮ জানুয়ারি) দেওয়া বিবৃতিতে সদ্য নির্বাচিত সরকারের প্রতি গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের বিষয়ে দেশের যে অঙ্গীকার, তা ফিরিয়ে আনতে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে অন্যান্য বক্তব্যের পাশাপাশি জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার বলেন, ‘আমি সরকারের প্রতি বাংলাদেশের সব নাগরিকের মানবাধিকার যেন সম্পূর্ণভাবে বিবেচনায় নেওয়া হয়, তা নিশ্চিত করা এবং দেশে একটি সত্যিকার অন্তর্ভুক্তিমূলক গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য আবশ্যক শর্তগুলো জোরদারের পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ করছি।’
তুর্কের বিবৃতিতে বলা হয়, দেশের প্রধান বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) নির্বাচন বর্জন করে। অগ্নিসন্ত্রাসের মতো রাজনৈতিক সহিংসতামূলক কর্মকাণ্ড ঘটেছে বলেও খবর রয়েছে। বিরোধীরা অগ্নিসন্ত্রাস চালিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
ফলকার তুর্ক বলেছেন, এসব ঘটনার স্বাধীন তদন্ত হতে হবে এবং দায়ী ব্যক্তিদের স্বচ্ছ ও ন্যায়পরায়ণ বিচারপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। নির্বাচনের প্রচার ও ভোটের দিন বিধি লঙ্ঘন ও সব অনিয়মেরও পুঙ্খানুপুঙ্খ ও কার্যকর তদন্ত হতে হবে।
জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশে অনেক ত্যাগের বিনিময়ে গণতন্ত্র অর্জিত হয়েছে এবং সেটা যেন এখন লোকদেখানো হয়ে না পড়ে। বাংলাদেশ উন্নয়নের ক্ষেত্রে রোল মডেল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি আন্তরিকভাবে আশা করি, দেশের রাজনৈতিক ও প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়েও এটার প্রতিফলন ঘটবে। বাংলাদেশের সব মানুষের ভবিষ্যৎ এখন ঝুঁকির মুখে।’