আগেই ঘোষণা ছিল চার দেয়ালের মধ্যে উদযাপন করতে হবে ইংরেজি বর্ষ বিদায় আর নতুন বর্ষ বরণের অনুষ্ঠান। ফানুস উড়ানো আর আতশবাজিতে ছিল নিষেধাজ্ঞা। এজন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী রাজধানীসহ দেশে বড় শহরগুলোতে নিয়েছিল ব্যাপক নিরাপত্তা প্রস্তুতি। পুলিশ-র্যাবের সঙ্গে এবার ডগ স্কোয়াড নিয়ে মাঠে ছিল বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)
শেষ পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই আকাশে ফানুস উড়িয়ে, ‘বৃষ্টির মতো’ আতশবাজি ফুটিয়ে ঢাকাবাসী উদযাপন করল নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর আয়োজন। রাত সাড়ে ১২টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত রাজধানীর আকাশে উড়ছিল ফানুস, মূর্হুমুহু শব্দ ভেসে আসছিল আতশবাজির। তবে ওই সময় পর্যন্ত কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
পুলিশের পক্ষ থেকে কড়া হুঁশিয়ারি ছিল- এবার আকাশে উড়ানো যাবে না ফানুস, আতশবাজিতে ছিল নিষেধাজ্ঞা। তবে ঘড়ির কাটায় রোববার রাত ১২টা বাজার সঙ্গে সঙ্গেই রাজধানীর বিভিন্ন বাড়ির ছাদ থেকে আতশবাজির শব্দ ভেসে আসছিল। জনসাধারণের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথগুলো রাত ৮টার দিকে বন্ধ হয়ে গেলেও ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীরা মেতেছিলেন নতুন বর্ষ বরণের উন্মাদনায়। বন্ধ ছিল হাতিরঝিল ও ৩০০ ফিট এলাকায় দৃষ্টিনদন্দন শেখ হাসিনা সরণী। এরপরও সেখানে ভিড় করতে দেখা গেছে শত শত মানুষকে।
রাত ১২টার আগেই রাজধানীর গুলশান, বনানী ও বারিধারাসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকার সড়কগুলোর নিয়ন্ত্রণে নেয় পুলিশ। গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে চেকপোস্টে সক্রিয় ছিল র্যাব-পুলিশ।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন, ৭ জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে এবার থার্টি ফার্স্ট নাইটে যে কোনো সময়ের তুলনায় কড়া নজরদারি ছিল। শান্তিপূর্ণভাবে ইংরেজি বর্ষ বিদায় ও নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর অনুষ্ঠান শেষ হওয়ায় স্বস্তিতে তারাও।
এদিকে পুরান ঢাকায় ডিএমপির নির্দেশনা অমান্য করে আতশবাজি আর হরেক রকমের রঙিন ফানুস উড়িয়ে বরণ করা হয় ইংরেজি নতুন বছরকে।