সরকারের পদত্যাগ, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ একদফা দাবিতে গত ২৯ অক্টোবরের থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে বিএনপি। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) হরতাল পালন করেছে বিএনপি-জামায়াতসহ যুগপথে থাকা সরকারবিরোধী দলগুলো। আজ হরতাল শেষে কোনো কর্মসূচি ঘোষণা না করলেও আগামীকাল বুধবার নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করবে বলে জানিয়েছে বিএনপি।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এই তথ্য জানান।
তিনি জানান, বুধবার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান চলমান আন্দোলনের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা ও ভাষণ দেবেন।
গত ২৯ অক্টোবর থেকে ৫০ দিনে তিন দফায় চার দিন হরতাল এবং ১১ দফায় ২৩ দিন অবরোধ করেছে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো।
সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, রাশিয়া ও ভারতের ওপর ভর করে সরকার ‘একতরফা’ নির্বাচন করার পাঁয়তারা করছে।
তিনি বলেন, গোটা জাতি এক ভয়ংকর জঙ্গলের মধ্যে বাস করছে। যেখানে চারদিকে ঘিরে আছে ভয় ও আতঙ্কের ব্যারিকেড। এই ভয় ও আতঙ্ক তৈরি করাই হয়েছে একদলীয় নির্বাচনকে সুসম্পন্ন করা, ভোটারবিহীন নির্বাচনকে নিশ্চিত করা। এ ব্যাপারে শেখ হাসিনা একেবারেই বেপরোয়া। উনি ভাবছেন রাশিয়া আছে, ভারত আছে… আমার আবার ভয় কীসের? রাশিয়া ও ভারত আমাকে সমর্থন দিলে আমার কীসের ভোট সেন্টার লাগবে, কীসের ভোটার লাগবে, কীসের স্বচ্ছ নির্বাচন লাগবে?
রিজভী বলেন, তাদের (রাশিয়া ও ভারত) কর্তাব্যক্তিরা মাঝে-মধ্যে স্টেটমেন্ট দিচ্ছেন। তা দেবেনই। বাংলাদেশে গণতন্ত্র থাকুক বা না থাকুক এটা তো ভারতের কোনো যায়-আসে না। আর রাশিয়ার তো মোটেও যায়-আসে না। আর নিজের দেশে গণতন্ত্রের বিশাল ঘাটতি একনায়তন্ত্রের শাসন। সুতরাং তাদের সমর্থনে শেখ হাসিনার আজকে পোয়া-বারো। ভারত নিজে গণতান্ত্রিক দেশ কিন্তু সে অন্য দেশের গণতন্ত্র বা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বা গণতান্ত্রিক সমাজ গঠিত হোক এটা তারা চাচ্ছেন না। যে কয়জন কর্তাব্যক্তিরা এসেছেন তারা প্রত্যেকেই জনগণের ইচ্ছা ও আকাঙ্ক্ষার বিরুদ্ধে আজকে জনসমর্থনহীন সরকারকে সমর্থন দিচ্ছেন। এতে বাংলাদেশের মানুষ বিস্মিত, হতবাক। ভারতের কাছ থেকে তো এটা কামনা করা যায় না। কিন্তু যারা আধিপত্যবাদী শক্তি তারা সব সময় চায় তার আশপাশের ছোট দেশগুলোকে কবজা করতে। ভারতের বর্তমান অবস্থানকে ‘বড় দুর্ভাগ্যজনক’ অভিহিত করেন তিনি।