শনিবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে মোংলার বিভিন্ন বাজারে গিয়ে দেখা যায়, সারা দেশের মতো মোংলাতেও পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। এক রাতের ব্যবধানে মোংলায় ১০০ টাকার পেঁয়াজ ১৬০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। নানা অজুহাত দেখিয়ে ব্যবসায়ীরা আগের দামে কেনা পেঁয়াজ যে যার মতো করে বিভিন্ন দামে বিক্রি করছেন। বিক্রেতারা বলছেন, বর্ডার বন্ধ, সরবরাহ কম তাই দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। খুলনার মোকামে পেঁয়াজ নেই, যা আছে তারও দাম বেশি।
বাড়তি দাম শুনে কেউ পেঁয়াজ না নিয়ে ফিরে যাচ্ছেন, আবার কেউ অল্প পরিমাণ পেঁয়াজ কিনে বাড়ি ফিরছেন। এ নিয়ে ক্রেতাদের মধ্যে রয়েছে ক্ষোভ, দাম নিয়ে বাকবিতণ্ডাও ঘটছে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে। ক্রেতারা বলছেন, এখন নতুন পেঁয়াজ উঠছে, তাহলে দাম বাড়বে কেন? শুক্রবার যে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকায়, সেই পেঁয়াজ রাতের ব্যবধানে শনিবার সকালে দাম বাড়িয়ে বিক্রি করা হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা পর্যন্ত।
ক্রেতাদের অভিযোগ, বাড়তি দামের পেঁয়াজ এখনও মোংলার বাজারে আসেনি। কিন্তু ব্যবসায়ীরা আগের কম দামে কেনা পেঁয়াজ আমাদের জিম্মি করে চড়া দামে বিক্রি করছেন।
ক্রেতা মো. ফরিদ বলেন, ১০০ টাকার পেঁয়াজ এখন ১৫০ টাকা চাইছেন ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, আমদানি বন্ধের কারণে নাকি দাম বেড়েছে।
পেঁয়াজ ব্যবসায়ী রহিম হাসান বলেন, দাম বাড়ায় পেঁয়াজ বিক্রি করতে পারছি না। ক্রেতারা বলছেন ডাকাতি করছি নাকি। খুলনায় পেঁয়াজের কেজি ১৬০ টাকা, আর খরচ মিলিয়ে আমাদের বিক্রি করতে হচ্ছে ১৭০ টাকায়।
পেঁয়াজ বিক্রেতা মো. সেলিম বলেন, শুক্রবার খুলনার মোকামে খোঁজ নিলে মহাজনেরা বলেছেন পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৪০/৫০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। মহাজনেরা আমাদের বলেছেন ভারত থেকে নাকি পেঁয়াজ আসা বন্ধ রয়েছে। সেই কারণে দাম বেড়েছে। দাম বাড়ায় শুক্রবার খুলনা থেকে মোংলায় কোনো পেঁয়াজ আসেনি। ফলে বাজারেও পেঁয়াজ কম, তাই দোকানদার ও ব্যবসায়ীরা আগের পেঁয়াজই ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন।
এক রাতের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধির ঘটনা সিন্ডিকেটের কারসাজি উল্লেখ করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি এইচ এম দুলাল।
তিনি বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখেই হয়তো সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই একটি চক্র এমন কারসাজি করছে। এটি সরকারের খতিয়ে দেখার প্রয়োজন বলে মনে করি।