মোছাঃ জাহানারা বিবি(৫২), স্বামী-মৃত হাকিম মন্ডল, সাং-বাঁকপাল মধ্যপাড়া, থানা-দুপচাঁচিয়া, জেলা-বগুড়া, দুপচাঁচিয়া থানায় এই মর্মে একটি অভিযোগ দায়ের করেন যে, বাদীর প্রতিবেশী মোঃ বেলাল উদ্দিন (৪৫), পিতা-মৃত অছির উদ্দিন শেখ, সাং-বাঁকপাল মধ্যপাড়া, থানা-দুপচাঁচিয়া, জেলা-বগুড়া এর পরিবারের সাথে পায়ে হাঁটা রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করাকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসছে। এরই সূত্র ধরে গত মঙ্গলবার দুপুর অনুমান ১ টার সময় উক্ত রাস্তাটি পরিস্কার করা নিয়ে বাদীর নাতির সাথে বেলাল উদ্দিন ও তার পরিবারের সদস্যগণ বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে বেলাল উদ্দিন ও তার পক্ষের লোকজন বাদীর স্বামীসহ অন্যান্যদের কোদাল দ্বারা আঘাত করলে বাদীর স্বামী হাকিম মন্ডল গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়। স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় বাদী, বাদীর ছেলের স্ত্রী ও বাদীর স্বামীকে রক্তাক্ত ও গুরুতর জখম অবস্থায় দুপচাঁচিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করালে কর্তব্যরত চিকিৎসক বাদীর স্বামীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন এবং বাদী ও বাদীর ছেলের স্ত্রীকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করে। উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুপচাঁচিয়া থানার মামলা নং-০৬, আজ বুধবার, ধারা-১৪৩/৩২৩/৩০২/৩৪/১১৪ পেনাল কোড রুজু হয়। এ ধরণের নৃশংস ও বর্বরোচিত হত্যাকান্ডটি বগুড়া জেলাসহ সারা দেশে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে এবং ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় আলোড়ন তৈরি করে। এজাহারনামীয় আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার করতে র্যাব-১২, সিপিএসসি, বগুড়া ক্যাম্প গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ৬ ডিসেম্বর, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১২, সিপিএসসি, বগুড়া ক্যাম্প জানতে পারে যে, উল্লেখিত হত্যা মামলার ১নং আসামী বেলাল হোসেন বগুড়া জেলার সদর থানাধীন ফাঁপোড় এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১২, সিপিএসসি, বগুড়ার একটি আভিযানিক দল বগুড়া জেলার সদর থানাধীন ফাঁপোড় এলাকায় ৬ তারিখ রাত্রি ২ টায় সময় অভিযান পরিচালনা করে হত্যা মামলার ১নং এজাহারনামীয় আসামীকে গ্রেফতার করে। পবরর্তীতে ধৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে প্রাথমিকভাবে হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করে। দুই পরিবারের মধ্যে চলমান দীর্ঘদিনের পারিবারিক বিরোধ হতে সৃষ্ট মানসিক চাপ ও তীব্র ক্ষোভের বশবর্তী হয়ে আসামী এই নৃশংস হত্যাকান্ড করেছে বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করে। ধৃত ব্যক্তিকে দুপচাঁচিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।