জাতীয় নির্বাচনে অবৈধ অস্ত্রের চোরাচালান ঠেকাতে সীমান্তে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। তা ছাড়া মিয়ানমারে অভ্যন্তরীণ গ্রুপগুলোর মধ্যে চলমান সংঘর্ষের কারণেও দেশের সীমান্তে সতর্কতা রয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানিয়েছেন বিজিবি মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল আহসান।
বিজিবির ১০০তম নবীন রিক্রুট ব্যাচের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান শেষে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই তথ্য দেন। চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় বিজিবি ট্রেনিং সেন্টার অ্যান্ড কলেজ (বিজিটিসিএন্ডসি) পেরেড গ্রাউন্ডে ওই অনুষ্ঠান হয়।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মহাপরিচালক বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে বিজিবির পূর্ণ প্রস্তুতি রয়েছে। নির্বাচনে অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবে বিজিবি।
এর আগে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি নতুন সৈনিকদের উদ্দেশে বলেন, আদেশ ও কর্তব্য পালনে যে কখনও পিছপা হয় না সে-ই প্রকৃত সৈনিক, বীরযোদ্ধা। সততা ও কর্তব্যনিষ্ঠা, আনুগত্য ও নির্ভরযোগ্যতা, বুদ্ধিমত্তা ও কর্মতৎপরতা, তেজ ও উদ্দীপনা একটি বাহিনীর শৃঙ্খলা ও পেশাগত দক্ষতার মাপকাঠি। শৃঙ্খলাই সৈনিকের মূলভিত্তি।
প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ বছর বাহিনীতে সীমান্ত রক্ষার শপথ নিয়েছেন ৩৮ জন নারীসহ ৫৮২ জন নবীন সৈনিক। নবীন সৈনিকদের প্রদর্শিত তেজোদীপ্ত কুচকাওয়াজের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন বিজিবির মহাপরিচালক।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া এই বাহিনীর নানা সাফল্য ধরে বিজিবি ডিজি বর্তমান সরকারের আমলে বাহিনীর নানা উন্নয়নের কথা তুলে ধরেন। বিজিবিকে ত্রিমাত্রিক বাহিনীতে রূপ দেওয়ায় তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
নবীন সৈনিকদের তিনি বলেন, সবার আগে দেশ, এরপর বাহিনীর স্বার্থ, অতঃপর অধীনস্থ ও সহকর্মীদের স্বার্থ এবং সর্বশেষে নিজের স্বার্থকে বিবেচনায় রেখে সবাইকে কাজ করতে হবে।
বিজিবির চারটি মূলনীতি-‘মনোবল, ভ্রাতৃত্ববোধ, শৃঙ্খলা ও দক্ষতা’-এ উদ্বুদ্ধ ও অনুপ্রাণিত হয়ে বিজিবির ওপর অর্পিত যেকোনো দায়িত্ব সুশৃঙ্খল ও সুচারুরূপে পালন করে দেশের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা রক্ষার সুমহান দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান নবীন সৈনিকদের।
সীমান্তে চোরাচালান রোধসহ পেশাগত দক্ষতা, সততা ও নিষ্ঠার সাথে নিজেদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলের সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসন ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।