সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে ১২ দলীয় জোটের বিক্ষোভ মছিল।
আওয়ামী লীগকে ভোটাধিকার বিরোধী আগামী নির্বাচন করতে দিলে নির্বাচন পরবর্তী ইস্যুতে সারাদেশে আওয়ামী লীগ গণহত্যা চালাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা। কারণ আগামী নির্বাচনের আগেই বিএনপি, ১২ দলীয় জোট, জামায়াতসহ সরকারবিরোধী নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি আওয়ামী লীগ ও পুলিশ যৌথ হামলা চালাচ্ছে।
সোমবার (৪ নভেম্বর) বিরোধী নেতাকর্মীদের মুক্তি, শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল শেষে এ আশঙ্কার কথা জানান। মিছিলটি জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে পল্টন, বিজয়নগর মোড় ঘুরে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে দেন জোটের শীর্ষ নেতারা।
জোটের নেতারা বলেন, দলীয় নেতাকর্মীদের না পেয়ে কারও বাবা-মা, কারও ভাইবোন, কারও স্ত্রীকে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সরকারের দলীয় ক্যাডাররা বিরোধী দলের নেতাদের আহত করে পুলিশের হাতে তুলে দিচ্ছে এবং পুলিশ আহত নেতাকর্মীদের আদালতে তুলে রিমান্ড চেয়ে নির্যাতন চালাচ্ছে।
বিক্ষোভ মিছিল সংক্ষিপ্ত সমাবেশ বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক এমপি নওয়াব আলী আব্বাস খান, ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার সহসভাপতি ও ১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক রাশেদ প্রধান, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামী বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা মুফতি মহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন মো. ফারুক রহমান, বাংলাদেশ জাতীয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুল আহাদ।
জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, দেশের মানুষের সাথে আওয়ামী লীগ কাপুরুষোচিত আচরণ করে চলেছে। তারা একদিকে জনগণকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করে রেখেছে অন্যদিকে নিত্যপণ্যের বাজারে একের পর এক সিন্ডিকেট বাণিজ্য করে নিজের পকেট ভারী করছে। দেশের জনগণের প্রতি তাদের কোনো দায়ভার নেই। তবে এবার জনগণ জেগে উঠেছে আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসররা পালানোর পথ খুঁজে পাবে না।
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক এমপি নওয়াব আলী আব্বাস খান বলেন, এই সরকার জনগণের সরকার নয়। এই সরকার জুলুমবাজ সরকার। জনগণের ওপর নিপীড়ন চালিয়ে আবারও ক্ষমতায় থাকতে চায়। জনগণ এখন প্রস্তুত এদের বিদায় করার জন্য।
জোটের প্রধান সমন্বয়ক রাশেদ প্রধান বলেন, আওয়ামী লীগের হাতে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা এখন শ্রী-মতীর পাঠশালায় পরিণত হয়েছে। শিক্ষা ব্যবস্থার অন্তিম যাত্রা শুরু থেকে এখন ধ্বংসের চূড়ান্ত পর্যায়। তাই দেশবাসী মনে করে আওয়ামী লীগ দেশ ও জনগণের জন্য একটি আগাছা দলে পরিণত হয়েছে। অচিরেই আওয়ামী লীগের পতন ঘটাতে হবে।
লেবার পার্টির লায়ন ফারুক রহমান বলেন, জনগণ থেকে প্রত্যাখ্যাত হয়ে এই সরকার গণতান্ত্রিক বিশ্ব থেকেও আজ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। সুতরাং তাদের আর রেহাই নেই।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির হান্নান আহমেদ খান বাবলু, কাজী মো. নজরুল, জাগপার অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, আসাদুর রহমান খান, বাংলাদেশ এলডিপির সৈয়দ ইব্রাহিম রওনক, এমএ বাশার, আবদুল হাই নোমান, ফরিদ উদ্দিন, বাংলাদেশ জাতীয় দলের বেলায়েত হোসেন শামীম, আবুল মনসুর, জমিয়তের আতাউর রহমান খান, মাওলানা এমএ কাশেম ইসলামাবাদী, বাংলাদেশ লেবার পার্টির হুমায়ুন কবির, শরীফুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান, মো. আসাদ, যুব জাগপার নজরুল ইসলাম বাবলু, এলডিপি যুবদলের ফয়সাল আহমেদ, ছাত্রসমাজের কাজী ফয়েজ আহমেদ, মেহেদী হাসান, ফাহিম হোসাইন, ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের নিজাম উদ্দিন আল আদনান ছাত্র মিশনের মো. মোসতাকিন বিল্লাহ প্রমুখ।