বাংলাদেশ কংগ্রেসের দলীয় প্রার্থী হওয়ার পরও চার অভিযোগে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের প্রার্থী আলোচিত আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। রোববার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে বগুড়ার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন।
হিরো আলমের মনোনয়নপত্র বাতিলের বিষয়ে রিটানিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম বলেন, আশরাফুল হোসেন রাজনৈতিক দলের প্রার্থী হয়েও মনোনয়নপত্রে নিজেকে স্বতন্ত্র দাবি করেছেন। সেক্ষেত্রে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে মোট ভোটারের এক শতাংশ সমর্থন ফরমও তিনি জমা দেননি। মনোনয়নপত্রের হলফনামায় আশরাফুল হোসেন সম্পদের বিবরণী জমা দেননি। এছাড়াও তিনি মনোনয়নের হলফনামায় সই করেননি। এজন্য আশরাফুল হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হলো। রিটানিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম আরও বলেন, মনোনয়নপত্র বাতিলের আদেশ উঠিয়ে আশরাফুল হোসেন আগামী ৫ থেকে ৯ ডিসেম্বরে মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনে আবেদন করতে পারবেন।
এবিষয়ে হিরো আলম বলেন, মানুষ মাত্রই ভুল। আমারও ভুল হয়েছে। দীর্ঘদিন দেশে ছিলাম না। দুজন উকিল মনোনয়ন পূরণকালে ভুলগুলো করেছেন। সেই দায় আমারই। হিরো আলমের মনোনয়ন বাতিল নতুন কিছু নয়। আমি আপিল করবো প্রয়োজনে আবারও হাইকোর্টে যাবো। মানুষের ভালোবাসা নিয়ে নির্বাচনের মাঠে থাকবোই।
গত বৃহস্পতিবার বিকেলে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে হিরো আলমের পক্ষে তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী সুজন রহমান মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। রিটার্নিং কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম তাঁর মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেন। এর এক দিন আগে বুধবার বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ জনদলের (বিজেডি) থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতার কথা জানিয়েছিলেন হিরো আলম। তবে ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতেই তিনি সিদ্ধান্ত বদলে বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন।
এর আগে গত ১ ফেব্রুয়ারি বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছিল। পরে নির্বাচন কমিশনে আপিল করে প্রার্থিতা ফেরত না পেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন। পরে হাইকোর্টের আদেশে তিনি নির্বাচনে ফিরে আসেন। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে বগুড়া-৪ আসনে একতারা প্রতীকে ৮৩৪ ভোট কম পেয়ে আওয়ামী লীগ–সমর্থিত জাসদের প্রার্থী এ কে এম রেজাউল করিমের কাছে তিনি পরাজিত হন।।