সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচিত-সমালোচিত হিরো আলম, মডেলিং থেকে শুরু করে, চলচ্চিত্র অঙ্গন। দেশে থেকে বিদেশে হয়েছেন হাস্যরসের খোরাক। সেখানেই না থেমে গিয়েছেন রাজনৈতিক অঙ্গন সহ সঙ্গীতাঙ্গনে। রবীন্দ্রসংগীত বিকৃত করার অভিযোগে যেতে হয়েছে থানায়। সেখানেও না থেমে, বেরিয়ে এসে গিয়েছেন একেবারে সাহিত্যাঙ্গনে।
সেখানেও হয়েছেন হাসিওয়ালা। উঠেছে রুচির প্রশ্ন। তাও না থেমে,
অতঃপর তিনি এখন নাট্যাঙ্গনে। এবার অবশ্য নবীন নাট্য নির্মাতা অতিন্দ্র কান্তি অজু’র গল্প চিত্রনাট্য ও পরিচালনায়, আয়নাড়াল নামে একটি নাটকে, কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করে, পাচ্ছেন বাহবা।
নাটকটি ইউটিউবে প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই, মন্তব্য ঘরে, নেটিজেনদের শতভাগ ভুয়সী প্রশংসায় ভাসছেন তিনি।
কেউ লিখছে, এটি আপনার জীবনের শ্রেষ্ঠ গল্প, শ্রেষ্ঠ অভিনয়।
কেউ লিখছে, এই প্রথম হিরো আলমের কাজ দেখলাম, এতোটা ন্যাচারাল অভিনয় করছে।
কেউ কেউ লিখছে, এটি রুচির দুর্ভিক্ষের উপযুক্ত জবাব। এমন একটি মন্তব্যের প্রতি মন্তব্যে হিরো আলম অফিসিয়াল থেকে থ্যাংকস জানায়। সেখানেই নাটকটির নির্মাতা অতিন্দ্র কান্তি অজু লিখেন,
আসলে এটি বটবৃক্ষের তরে যেমন জবাব ঠিক নয়, তয়
আমার কাছে মনে হয়, রুচির দুর্ভিক্ষও নয়।
মূলত আমাদের সু-দৃষ্টির দুর্ভিক্ষ চলছে। তাই গোবরকে জৈব সার হিসেবে না দেখে, খাদ্য হিসেবে দেখায় রুচির প্রশ্র উঠছে।
যাইহোক, যদিও নাটকটি নির্মাণে কিছু প্রতিবন্ধকতায় বেশ ত্রুটি ছিলো,
ভবিষ্যতে নিখুঁত করার চেষ্টা করবো। প্রশংসার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
তাঁর জবাবে সেখানে মামুনুর রশীদ নামের একটি আইডি থেকে লিখেন,-
মা-বাবারা গোধূলি বেলায়,
সন্তানের কাছে সন্তান হয়ে যায়।
এই বেলায় এসে, আশরাফুল হোসেন আলমের একটি কথা প্রায়’ই কানে বাজতো। সেটি হচ্ছে-
আমাকে তো তেমন কেউ গড়ে তুলার চেষ্টা করেনি।
খুব করে চাইছিলাম একবার কেউ সেই চেষ্টাটুকু করুক। দেখে যাই। দেখলাম। আজকের পর হয়তো আর সেই কথাটা কানে বাজবে না।
অনেকটা সফল তোমরা। চেষ্টায় থাকলে আরো ভালো করবে। শুভকামনা।
এই নাটকেরই মন্তব্য ঘরে
পূজা চ্যারী নামের আরেকটি আইডি থেকে লিখেন,-
হিরো আলম ভাইয়া!
আপনি বেশ ভালো পেরেছেন। আরও ভালো পারবেন, এমন ক্রিয়েটিভ পার্সনদের নিয়ে নিয়মিত কাজ করে যান। শুভকামনা সবার জন্য।
নাটকটিতে রিয়া মনি, শিশু শিল্পী মিষ্টি মনি, শুভ রহমান, নিঝুম নীলা, রাজীব খন্দকার, সহ আরও অনেকেই অভিনয় করেন।
প্রযোজনা করেছেন, মোঃ ফিরোজ হোসেন।
চিত্রগ্রহণ বিএমসি লিমন
ও সম্পাদনায় নাছির উদ্দিন সনি।