দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) প্রতিনিধি : সেলিম রেজা
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে দুপচাঁচিয়া উপজেলার পাঁচোষা গ্রামের অর্থাভাবে চিকিৎসা করতে না পারায় নদীর ধারে ফেলে আসা চাঁদ মিয়াকে (৪০) পাঁচ দিন পর উদ্ধার করেছেন থানা অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ। জানা গেছে, উপজেলার গুনাহার ইউনিয়নের পাঁচোষা গ্রামের আব্দুল জোব্বারের ছেলে চাঁন মিয়া দীর্ঘ প্রায় ৫ মাস যাবৎ বারজারস রোগে ভুগছিলেন। তার স্ত্রী মিতা বেগম বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে তার চিকিৎসা করছিলেন। এক পর্যায়ে অর্থাভাবে তার চিকিৎসা ও খাওয়া দাওয়ার ভার বহন করতে না পেরে হতাশা থেকেই অসুস্থ স্বামী চাঁন মিয়াকে আদমদীঘি উপজেলার চাঁপাপুর ইউনিয়নের নাগর নদীর ধারে কিছু শুকনা খাবার ও পানি দিয়ে তাকে রেখে আসে। মিতা বেগম সংসারের ঘানি টানতে ঢাকায় গার্মেন্টস্ধসঢ়; এ কাজ করতে চলে যায়। নদীর ধারে বসবাসরত গরিব মানুষরা তাকে সময় অসময়ে খাবারও দেয়। এ ভাবেই অসুস্থ চাঁন মিয়ার পাঁচ দিন কেটে যায়। স্থানীয় চৌকিদারের মাধ্যমে খবর পেয়ে থানা অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ বিষয়টি বগুড়া জেলা পুলিশ সুপারকে অবগত করেন। পুলিশ সুপারের দিক নির্দেশনায় গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে চাঁপাপুর নাগর নদীর ধার থেকে চাঁন মিয়াকে উদ্ধার করেন। প্রথমে তাকে দুপচাঁচিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে নিয়ে আসেন। পরে ডাক্তারের পরামর্শে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান
মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।