মহাস্থান নিউজ:
বগুড়ার ধুনট উপজেলায় বাঙালি নদীতে ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালিয়ে বালু তোলার সরঞ্জামাদি জব্দ এবং মামলা দায়েরের পরও অবৈধভাবে বালু উত্তোলন চলছেই। বাঙালি নদীর বিলচাপড়ি সেতুর দুই পাশ থেকেই খননযন্ত্র দিয়ে অবাধে বালু তোলা হচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার এলাঙ্গী ইউনিয়নের বাঙালি নদীর বিলচাপড়ি সেতুর দক্ষিণ পাশে খননযন্ত্র বসিয়ে বিলচাপড়ি গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে এলাঙ্গী ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুল মোমিন এবং সেতুর উত্তর পাশের্^ বিলচাপড়ি গ্রামের আব্দুল আলীম ১টি এবং একই গ্রামের নূর মোহাম্মদের ছেলে রবিউল ইসলাম উৎসব ১টি খননযন্ত্র বসিয়ে বালু উত্তোলন করছেন। উত্তোলন করা বালু প্রতি ট্রাক ৬০০-৭০০টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এ স্থানে ৩০ জুলাই সহকারি কমিশনার (ভূমি) নুরুল আমীনের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালায়। ভ্রাম্যমান আদালতের উপস্থিতি টের বালু ব্যবসায়ী ও বালু শ্রমিকের সেখান থেকে পালিয়ে যায়। এসময় সেখান থেকে বালু তোলার কাজে ব্যবহৃত ৪টি শ্যালো মেশিন জব্দ করে এলাঙ্গি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোজাম্মেল হকের জিম্মায় রাখা হয়।
এ ঘটনায় ১ আগস্ট এলাঙ্গী ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপসহকারি কর্মকর্তা আব্দুস শুকুর বাদি হয়ে ইউপি সদস্য আব্দুল মোমিন, আব্দুল আলীম ও রবিউল ইসলাম উৎসবকে আসামী করে ধুনট থানায় মামলা করেন।
মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আব্দুল মোমিন, রবিউল ইসলাম উৎসব ও আব্দুল আলীম প্রায় এক দশক ধরে বাঙালি নদী থেকে খননযন্ত্র অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বাণিজ্য করে আসছে। তারা বাঙালি নদীর বিলচাপড়ি সেতুর উত্তর ও দক্ষিন পাশে খননযন্ত্র বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে। ফলে নদী পাড়ের জনবসতি, আবাদি জমিসহ বিভিন্ন ধরনের অবকাঠামো ভেঙ্গে নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। এলাকাবাসির পক্ষ থেকে উপজেলার প্রশাসনের কাছে বারবার অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাননি।
বালু ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম উৎসব বলেন, ‘সব সময় বালু তোলা হয় না। মামলা চালাতে গিয়ে অনেক খরচ হচ্ছে। এ কারণে কিছু বালু তুলে বিক্রি করছি।’
সহকারি কমিশনার (ভূমি) নরুল আমিন জানান, বাঙালি নদীতে একাধিকবার ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। বালু তোলার সরঞ্জাম জব্দ এবং বালু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মামলাও করা হয়েছে। তারপরও অবৈধভাবে বালু তোলা হলে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান চালানো হবে।