মহাস্থান নিউজ:
পুষ্টি বিষয়ক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রণাধীন জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান এবং দি হাঙ্গার প্রজেক্টের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। সোমবার (২৪ জুলাই) রাজধানীর গুলশান-২-এ অবস্থিত হোটেল অ্যারিস্ট্রোক্র্যাটে বেলা সাড়ে ১১টায় এ সমঝোতা স্মারক অনুষ্ঠান হয়।
দি হাঙ্গার প্রজেক্টের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির কান্ট্রি ডিরেক্টর বদিউল আলম মজুমদার এবং জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এর পরিচালক অধ্যাপক শাহ গোলাম নবী সমঝোতা স্মারকে সই করেন। স্বাগত বক্ত্যবে দি হাঙ্গার প্রজেক্টের পরিচালক (কর্মসূচি) নাছিমা আক্তার জলি বলেন, আজকের দিনটি একটি ঐতিহাসিক দিন হিসেবে চিহ্নিত হবে, ভবিষ্যতের জন্য উজ্জ্বল আলোর রেখা প্রদর্শন করবে। বাংলাদেশের নারী ও শিশুর পুষ্টি নিশ্চিতের লক্ষ্যে আজ সমঝোতা স্মারক সই হচ্ছে। বাংলাদেশে শিশু ও নারী মৃত্যুর হারের দিক দিয়ে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে আছে। কিন্তু নারী ও শিশুর শারীরিক ও মানসিক পরিগঠনের জন্য পুষ্টি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তা আমরা খুব একটা নজর দেই না। এ প্রজেক্টের মাধ্যমে নারী ও শিশুর পুষ্টি আমরা সেই কাজটি করবো। আমাদের আগামী প্রজন্মকে সবল ও সক্ষম জাতি হিসেবে পরিণত করতে এ প্রকল্প ভূমিকা রাখবে বলে আমরা মনে করি।
জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের পরিচালক অধ্যাপক শাহ গোলাম নবী এ প্রকল্পের উদ্যোগ গ্রহণের জন্য দি হাঙ্গার প্রজেক্টকে অভিনন্দন জানান। সরকারের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হয়ে প্রকল্পটি করা হবে যা এ প্রকল্পে নতুনত্ব এনেছে। ভবিষ্যতে প্রকল্পটি আরও বড় পরিসরে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
অতিরিক্ত সচিব মো. আক্তারুজ্জামান বলেন, নারী ও শিশুর পুষ্টিমান উন্নয়নের অনেক প্রচেষ্টা চলছে। সরকার কাজ করছে, বেসরকারি সংস্থাগুলোও কাজ করছে। জনস্বাস্থ্যের উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অনেক এগিয়েছে, আবার কিছু কিছু সূচকে আমরা এখনো পিছিয়ে আছি। করণীয় আছে অনেক। আশা করি এ প্রকল্পের মাধ্যমে নারী ও শিশুর পুষ্টি মানের উন্নয়ন ঘটবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক রাশেদা সুলতানা বলেন, মায়েদের নিয়ে অনেক কাজ করার আছে। নইলে কোনো উন্নয়ন টেকসই হবে না। দি হাঙ্গার প্রজক্টের প্রকল্পটি একটি সুন্দর উদ্যোগ। প্রকল্পটি আরও বড় পরিসরে নিয়ে যাওয়া দরকার।
বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ৩০ বছর আগে পুষ্টি বিষয়ক কার্যক্রম দিয়েই আমি আমার উন্নয়ন বিষয়ক কার্যক্রম শুরু করি। দি হাঙ্গার প্রজেক্ট অনেক দিন ধরে এ কাজের সঙ্গে যুক্ত আছে। অনেক দিন আগে এশিয়ান এনিগমা একটা লেখা পড়েছিলাম। ওই লেখাতে বলা হয়েছিল, বাংলাদেশ আফ্রিকার চেয়ে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকলেও পুষ্টি মানের পিছিয়ে আছে। কারণ হলো নারীদের প্রতি অযতœ ও অবহেলা। আমরা হাঙ্গার প্রজেক্টের মাধ্যমে পুষ্টি, স্বাস্থ্য বিষয়ক নিয়ম নীতি মানার ক্ষেত্রে মানুষের অভ্যাস ও দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের একটা সামাজিক আন্দোলনে রূপ দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছি। ভবিষ্যতের জন্য একটি সুন্দর বাংলাদেশের জন্য রেখে যাব সেই প্রত্যাশা করছি। অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক রাশেদা সুলতানা, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. আক্তারুজ্জামান, দি হাঙ্গার প্রজেক্টের পরিচালক (কর্মসূচি) নাছিমা আক্তার জলি, দি হাঙ্গার প্রজেক্টের সহকারী পরিচালক জমিরুল ইসলাম প্রমুখ।