স্টাফ রির্পোটার: রাশেদ
বগুড়ায় বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ জুয়েলার্স এ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) এর ৫৮ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর র্যালীতে ঘোড়ার গাড়ী, হাতি, ব্যান্ডপার্টি নিয়ে ছয় শতাধিক সদস্য অংশগ্রহণ করেন। সোমবার (১৭ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় বাজুস বগুড়া জেলা শাখার উদ্যোগে শহরে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি শহীদ খোকন পার্ক থেকে বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে গালাপট্টিতে আলোচনা সভায় মিলিত হয়। এছাড়াও এদিন রাতে বগুড়া ফাইভ স্টার হোটেল মমইন কনভেনশন সেন্টারে কেক কাটা, আলোচনা সভা, আতশবাজী, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বাজুস জেলা শাখার সাবেক সভাপতি মতলেবুর রহমান রাতুলের সভাপতিত্বে ও বাজুস বগুড়ার সদস্য সচিব ফিরোজ আহম্মেদ বাবুর পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ প্রতিদিন বগুড়ার সিনিয়র রিপোর্টার ও বাংলাদেশ জুয়েলার্স এ্যাসোসিয়েশন বগুড়া জেলা শাখার নির্বাচন পরিচালনা বোর্ডের সদস্য আবদুর রহমান টুলু, সাবেক সভাপতি পান্না মিয়া, বাজুস নেতা তাজ উদ্দিন সুমন।
এসময় বক্তারা বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বাজুসের মাননীয় প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীর’র নেতৃত্বে বাজুস সর্ববৃহৎ ও ঐতিহ্যবাহী বাণিজ্য সংগঠন হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। তাঁর হাত ধরে বাজুস এখন এক ছাতায় একত্রিত হয়ে দেশের বৃহৎ সংগঠনে পরিনত হয়েছে। এই পেশায় যারা নিয়োজিত আছেন তাদের ব্যবসায়ী সকল সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে বাজুস প্রেসিডেন্ট কাজ করছেন। তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে বাজুসের দায়িত্ব নিয়েছেন। স্বচ্ছতার সাথে প্রতিটি স্বর্ণব্যবসায়ী তাদের ব্যবসায়ীক কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। দেশের সর্ববৃহৎ ও ঐতিহ্যবাহী বাণিজ্য সংগঠন বাজুস প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীর বলেছেন, সরকারের নীতি সহায়তা পেলে রপ্তানি আয়ের শীর্ষ খাত হবে জুয়েলারিশিল্প। সরকারের সঠিকভাবে উৎসাহ ও কর প্রণোদনা পেলে এ শিল্প তৈরি পোশাক শিল্পের মতো দেশের অর্থনীতিতে বড় অবদান রাখতে সক্ষম হবে।