মহাস্থান নিউজ:
আমন ধানের ফলন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষক ও কৃষি কর্মকর্তাদের নিয়ে বগুড়ায় আঞ্চলিক কর্মশালা হয়েছে। শনিবার দিনব্যাপী বগুড়া শহরের পর্যটন মোটেলের কনফারেন্স হলে এই কর্মশালার আয়োজন করে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) সিরাজগঞ্জ কার্যালয়।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ।
ব্রি’র মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীরের সভাপতিত্বে বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, পাবনা ও জয়পুরহাটের বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা, ডিলার, মিলার ও কৃষক প্রতিনিধিসহ ২৬০ জন কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।
কর্মশালায় বগুড়া অঞ্চলের চার জেলার কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তারা আমনসহ বিভিন্ন ফসলের গুরুত্ব উপস্থাপন করেন। পরে প্রান্তিক কৃষকরা আমন ধান রোপনের ক্ষেত্রে নিজেদের সংকট ও সম্ভাবনা তুলে ধরেন। এ ছাড়া কৃষকরা এ জন্য সময়মতো ও ন্যায্যদামে বিএডিসি থেকে বীজ ও ধানের চারা পাওয়ার দাবি জানান।
কৃষি গবেষকরা এ সময় কৃষকদের দেশীয় উদ্ভাবিত স্বল্প সময়ের জাতের আমন ধান চাষের পরামর্শ দেন। এতে তাদের খরচ কমে আসবে। পাশাপাশি আমন পরবর্তী সরিষা চাষ করে অধিক লাভবান হতে পারবেন কৃষকরা।
প্রধান অতিথি বিএডিসি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ বলেন, বোরো ধান চাষে প্রচুর পানি সেচ দিতে হয়। এতে কৃষকের খরচ বাড়ে। তেমনি ভূর্গভস্থ পানির ওপর চাপ পড়ে। যেহেতু আমন বর্ষাকালের ফসল, তাই এই সময়ে উচ্চফলনশীল জাতগুলো চাষে বেশি সুবিধা পাবেন কৃষকরা। আবার স্বল্প সময়ের জাত হওয়ায় কৃষক দ্রুত আমন ধান ঘরে তুলতে পারবেন। একই সঙ্গে ওই জমিতে সরিষা বা অন্য ফসল চাষ করার সুযোগ পাবেন তারা।
এ ছাড়া আমনের ফলন বাড়ানো লক্ষ্যে কৃষকরা যাতে সময়মতো বীজ ও চারা পায় সেজন্য বিএডিসি কাজ করবে বলে জানান আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ।
কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্রি’র উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. খোন্দকার মো. ইফতেখারুদ্দৌলা। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সরেজমিন উইংয়ের পরিচালক কৃষিবিদ মো. তাজুল ইসলাম পাটোয়ারী, বিএডিসির সদস্য পরিচালক (বীজ ও উদ্যান) কৃষিবিদ মো. মোস্তাফিজুর রহমান, ব্রি’র পরিচালক (গবেষণা) ড. মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান, পরিচালক (প্রশাসন ও সাধারণ পরিচর্যা) ড. মো. আব্দুল লতিফ, বগুড়া আঞ্চলিক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ সরকার শফিউদ্দিন আহমদ।