মহাস্থান নিউজ:
স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির মোকাবেলা করছে ভারতের দিল্লীর বাসিন্দারা। ধারণা করা হচ্ছে ভারী বৃষ্টিপাত, সেইসাথে দেশটির হরিয়ানার হাতনিকুন্ড ব্যারাজ থেকে পানি নিষ্কাশনই বন্যা পরিস্থিতির প্রধান কারণ।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, তিন দিনের অবিরাম বৃষ্টির পর দিল্লী এখন চরম বন্যা সতর্কতামূলক অবস্থায় রয়েছে। স্থানীয় যমুনা নদীর পানির স্তর সর্বকালের সর্বোচ্চ উচ্চতায় পৌঁছেছে। গত মঙ্গলবার ২০৫ মিটার বিপদসীমা লঙ্ঘনের পর থেকে যমুনা নদীর পানির স্তর বাড়তে থাকে। আজ সকাল ৮টায়, পানির স্তর ছিল ২০৮ দশমিক ৪৮ মিটার। যা সর্বকালের সব রেকর্ড ভেঙ্গে দিয়েছে।
দিল্লী এবং আশেপাশের অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাত, সেইসাথে হরিয়ানার হাতনিকুন্ড ব্যারাজ থেকে পানি নিষ্কাশনই দিল্লীর বন্যা পরিস্থিতির প্রধান কারণ বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, দিল্লী যে সংকটের মুখোমুখি হচ্ছে তার পেছনে অন্যান্য বেশ কিছু কারণ থাকতে পারে।
এবছর ভারতের হাতনিকুন্ড ব্যারেজ থেকে ছেড়ে আসা পানি দিল্লী পৌঁছাতে আগের বছরের তুলনায় কম সময় নিচ্ছে। এর প্রধান কারণ হতে পারে ভূমি দখল এবং পলি। আগে পানি প্রবাহের জন্য আরও জায়গা ছিল। এখন একটি সংকীর্ণ ক্রস সেকশনের মধ্য দিয়ে পানি যাচ্ছে।
এবছর হিমাচল প্রদেশে বর্ষা বড় ধ্বংসযজ্ঞ নিয়ে এসেছে, খুব ভারী বৃষ্টির কারণে ব্যারেজটি ভরাট হয়ে গেছে। রাজধানী থেকে প্রায় ১৮০ কিলোমিটার দূরে হরিয়ানার যমুনানগরের ব্যারাজের পানি দিল্লিতে যেতে প্রায় দুই থেকে তিন দিন সময় নেয়।
ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ট্রাস্ট ফর আর্ট অ্যান্ড কালচারাল হেরিটেজ এর ন্যাচারাল হেরিটেজ বিভাগের প্রধান পরিচালক মনু ভাটনগর, যমুনার পানি বৃদ্ধির প্রাথমিক কারণ হিসেবে স্বল্প সময়ের মধ্যে ভারী বৃষ্টিপাতকে চিহ্নিত করেছেন।
তিনি বলেন, একই পরিমাণ বৃষ্টির পানি দীর্ঘ সময় ধরে পতিত হলে তেমন কোনোও প্রভাব পড়েনা তবে এর থেকেও অল্প পরিমাণে বৃষ্টিপাত যদি অল্প সময়ের মধ্যে হয় তবে তা পানির ঢলের সৃষ্টি করতে পারে।
পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কায় আজ ভারতের দিল্লীতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। দেশটিতে এই জাতীয় বিপর্যয় মোকাবেলা করার জন্য বিভিন্ন বাহিনীর প্রায় ১২টি দল ইতিমধ্যেই উদ্ধার কাজের জন্য মাঠে নেমেছে।