মহাস্থান নিউজ:
দলীয় কার্যালয়ে ব্যানার লাগানো নিয়ে বিতণ্ডার জেরে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুন কবির টিপুকে পৌর মেয়রের সমর্থকরা মারধর করেছে।
মঙ্গলবার রাতে উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। আহত হুমায়ুন কবির টিপুকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্মীরা জানান, মঙ্গলবার দুপুরের দিকে উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে সভাপতি চয়ন ইসলামের ব্যানার সরিয়ে পৌর মেয়র মনির আক্তার খান তরু লোদির ব্যানার লাগানো হয়। বিষয়টি জানতে পেরে চয়ন ইসলামের সমর্থকরা এসে মেয়রের ব্যানার খুলে ফের সভাপতির ব্যানার লাগিয়ে দেন।
এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে দিনভর উত্তেজনা চলে। পরে রাতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক টিপুর ওপরে হামলা চালিয়ে তাকে মারধর করা হয়।
শাহজাদপুর থানার ওসি নজরুল ইসলাম মৃধা বলেন, “সভাপতির ব্যানার সরিয়ে মেয়রের ব্যানার লাগানোকে কেন্দ্র করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদককে মারধর করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে গেছে। তবে এখন পর্যন্ত থানায় কেউ অভিযোগ দেয়নি।
শাহজাদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাবেক সংসদ সদস্য চয়ন ইসলাম বলেন, “আমি ঢাকায় ছিলাম। হঠাৎ খবর পেলাম দলীয় অফিসে মেয়রের লোকজন মদ্যপ অবস্থায় এসে আমাকে গালাগালি ও ভাঙচুর করেছে এবং পার্টি অফিসে লাগানো আমার উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ব্যানার সরিয়ে মেয়রের ব্যানার লাগিয়েছে।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে আওয়ামী লীগের লোকজন এসে মেয়রের ব্যানার খুলে আমার ব্যানার লাগায়। বিষয়টি মীমাংসার জন্য আমি শাহজাদপুরে এসে মেয়রের সাথে কথা বলি। তাকে বারবার ফোন দিয়ে দেখা করতে চাই। কিন্তু সে সময় দেয়নি। এর মধ্যে রাতে হুমায়ুন কবির টিপুকে মারধর করা হল।
অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও পৌর মেয়র মনির আক্তার খান তরু লোদীকে কয়েক দফা ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি।
মেয়র সমর্থক হিসেবে পরিচিত পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম সাহু বলেন, “ব্যানার লাগানোকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। টিয়া নামে মেয়র গ্রুপের একজন যুবলীগ নেতাও আহত হয়েছেন।