মহাস্থান নিউজ:
রক্ত দিয়ে হলেও আওয়ামী লীগ সরকারের অধীন নির্বাচন হতে না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি নেতারা। তাঁরা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করলেই কেবল নির্বাচন হবে। আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগের দাবিতে আজ বুধবার রাজধানীর নয়াপল্টনে আয়োজিত সমাবেশে বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতা এ কথা বলেছেন। বেলা দুইটার দিকে এ সমাবেশ শুরু হয়।
সমাবেশে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম বলেন, ‘রক্ত দিয়ে হলেও আমরা এবারের নির্বাচন প্রতিহত করব।’ দেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে চায় না বলে দাবি করেন বিএনপির এই নেতা। সে কারণে আওয়ামী লীগের আজকের সমাবেশে মানুষ নেই বলে দাবি করেন তিনি। তবে বিএনপির এই সমাবেশের পাল্টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ পাশের সড়কে আওয়ামী লীগ যে সমাবেশ করছে, সেখানে বহু মানুষের উপস্থিতি রয়েছে।
বিএনপি নেতা আবদুস সালাম বলেন, ‘গত ১৪-১৫ বছরে শেখ হাসিনা কোনো কথা শুনেননি। তাই উনার এখন কোনো কথা বলারও দরকার নাই।’ তিনি বলেন, সরকারের কিছু কর্মকর্তা এখনো আওয়ামী লীগের ভাষায় কথা বলেন। তিনি তাঁদের সতর্ক করেছেন।
এ সরকারের অধীন কোনো নির্বাচন হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান জয়নুল আবেদিনও। সমাবেশে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করলেই নির্বাচন হবে। প্রধানমন্ত্রী আপনাকে যেতেই হবে।’
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ দাবি করেছেন, তাঁদের আজকের সমাবেশে নেতা–কর্মীদের উপস্থিতি প্রমাণ করেছে যে আওয়ামী লীগ সরকারের বিদায়ঘণ্টা বেজে গেছে। বিএনপির চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলন কর্মসূচি শুরুর পর থেকে ১৭ নেতা-কর্মী নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতাদের উদ্দেশে বরকতউল্লাহ বলেন, ‘এ জন্য আপনাদের বিচার হবে।’
আওয়ামী লীগ সরকার দেশকে লুটপাটের রাজত্ব বানিয়েছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। তিনি বলেন, ‘এ সরকারকে আর ক্ষমতায় রাখা যায় না।’ প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে শামসুজ্জামান বলেন, ‘আপনি নিজে ঠিক করবেন, নাকি আমরা ঠিক করে দেব; আপনাকে যেতেই হবে। এরশাদ থাকতে পারেননি, আপনিও থাকতে পারবেন না।’
নির্দলীয় সরকারের অধীন নির্বাচনের দাবি আদায়ের প্রত্যয় জানিয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান জাহিদ হোসেন বলেন, সব শ্রেণি–পেশার মানুষ আজ রাজপথে নেমে এসেছে।
এর আগে সকাল থেকেই দলের নেতা-কর্মীরা সমাবেশস্থলে জড়ো হতে থাকেন। দুপুর ১২টার মধ্যেই বিএনপির নেতা-কর্মীদের অংশগ্রহণে ভরে যায় সমাবেশস্থল। নেতা-কর্মীদের উজ্জীবিত রাখতে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে তৈরি করা মঞ্চে গান পরিবেশন করা হয়। ফাঁকে ফাঁকে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতারা বক্তব্য দিতে থাকেন।