মহাস্থান নিউজ: ঘটনা ২০২১ সালের ৪ সেপ্টেম্বর। নাটোর সদর উপজেলার একডালা এলাকায় একটি যাত্রীবাহী বাসে তল্লাশি চালিয়ে মাসুম নামে এক যুবকের কাছ থেকে সাতটি প্যাকেটে থাকা এক কেজি ২৯০ গ্রাম হেরোইন সদৃশ পাউডার জব্দ করে র্যাব। পরে র্যাবের ডিএডি রাজিব বাহাদুর বাদি হয়ে মাদক আইনে নাটোর সদর থানায় করেছিলেন মামলা। ওই মামলায় মাসুম এখন কারাগারে। নেয়া হয়েছে ১২ জনের সাক্ষী।
মঙ্গলবার সেই মামলার যুক্তিতর্কের দিন ধার্য ছিল। তার আগে নাটোরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. শরীফ উদ্দিনকে করা আসামির অনুরোধে খোলা হয় সিলগালা আলামতের প্যাকেট।
পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম জানান, এ সময় ওই প্যাকেট থেকে সাতটি প্যাকেট খুলে দেখা যায় সেগুলো আচারের প্যাকেট সদৃশ্য।
এ ঘটনায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। জানা গেছে, ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে আগামি ২৫ জুলাই সশরীরে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক মো. শরীফ উদ্দিন।
পিপি অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম জানান, ২০২১ সালের ৪ সেপ্টেম্বর নাটোর সদর উপজেলার একডালা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে তল্লাশি চালিয়ে মাসুম নামে এক যুবকের কাছ থেকে সাটি প্যাকেটে থাকা এক কেজি ২৯০ গ্রাম হেরোইন সদৃশ পাইডার জব্দ করে র্যাব সদস্যরা। আটক করেন মাসুমকে। তিনি জানান, হেরোইন উদ্ধার করে একটি এজহার দাখিল করে। সেই এজহার দাখিল পরবর্তী সময়ে তদন্ত ও সিএস (চাজশিট) হয়। ইতোমধ্যে মামলার ১২ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে এবং আজ আরগুমেন্টের ডেট (যুক্তিতর্কের দিন) ছিল।
এর আগে মাননীয় জেলা জজ মহদয় গতকাল কারাগার পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। পরিদর্শনের যাওয়ার পর আসামি মাসুম জেলা জজ মহোদয়কে অনুরোধ করেন মাননীয় জেলা জজ মহোদয়, আপনি আমাকে সাজা দেন, সব করেন, আপত্তি নেই।কিন্তু আলামতগুলো ওখানে আছে, ওই আলামতগুলো যদি আপনি দেখেন তাহলে আমার জন্য একটু সুবিধা হয়। আপনি দয়া করে আলামতটা খুলে দেখেন।’
পিপি আরও বলেন, আজ যখন আমরা আরগুমেন্টের জন্য উপস্থিত হই, ঠিক সেই সময় তিনি (জেলা দায়রা জজ) বলেন যে, আলামতগুলো খুলে দেখতে হবে, সেখানে কী আছে? সেই আলামত খুলে দেখা যায় যে, ১২৯০ গ্রাম গ্রাম হেরোইন, এই হেরোইনের সাতটি প্যাকেট বলা হয়েছে, সেই সাতটি প্যাকেট ঠিকই আছে, কিন্তু সাতটি প্যাকেট খুলে দেখা যাচ্ছে সেগুলো আচারের প্যাকেট। এগুলো সিলগালা করা ছিল বলেও জানান তিনি।
সিরাজুল ইসলাম আরও জানান, বিষয়টি আইও (তদন্ত কর্মকর্তা)কে জানানো হয়েছে। তিনি আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে আদালতে এসে এর ব্যাখ্যা দেবেন।