মহাস্থান নিউজ:
দায়িত্বশীলতার সঙ্গে সাংবাদিকদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা চর্চা করার আহবান জানিয়েছ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সমালোচনা সবাই করতে পারে, কিন্তু তা যেন গঠনমূলক হয়।
তিনি বলেন, স্বাধীনতা ভালো। তবে তাহা বালকের জন্য নহে। দেশের অকল্যাণ, ভাবমূর্তি নষ্ট হয় তেমন কাজের সঙ্গে স্বাধীনতা যেন এক না করা হয়।
সোমবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অসুস্থ, অসচ্ছ্বল সাংবাদিক এবং নিহত সাংবাদিক পরিবারের সদস্যদের অনুকূলে আর্থিক সহায়তার চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদসহ বিভিন্ন সাংবাদিক ইউনিয়ন, সংগঠনের নেতা ও সিনিয়র সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
২০০১ সালের নির্যাতনের চিহ্ন এখনও অনেক সাংবাদিকের শরীরে সেই কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত ১৪ বছর সাংবাদিকরা যে স্বাধীনতা পেয়েছে তা আর কখনও পায়নি।
তিনি এসময় অনুদানকে অপ্রতুল হিসাবে উল্লেখ করে বলেন, দ্রব্যমূল্যের বাস্তবতায় এটা যথেষ্ট নয়। তবে সবার মঙ্গলের জন্য সরকার কাজ করছে।
আইয়ুব খান, জিয়া, এরশাদের আমলে মত প্রকাশের স্বাধীনতা কি ছিল এমন প্রশ্ন রেখে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখনও অনেকে অনেক সমালোচনা করে। আমি মনে করি সেই সমালোচনাটা গঠনমূলক হওয়া উচিত। শুধু বলার জন্য বলা না। বিরোধীদল তো বলবেই, তারা সারাদিন কথা বলে, টক শো করে, টক শোতে ইচ্ছেমতো যা খুশি তাই বলে যাচ্ছে। তারা কথা বলার পরেও বলবে কথা বলার স্বাধীনতা দেয়নি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সরকার গঠন করার সময় সংবাদপত্র ছিল হাতেগোনা কয়েকটি। তখন অবাধে সংবাদ যাতে প্রকাশিত হতে পারে সে ব্যবস্থা করেছি। প্রথমে তিনটি প্রাইভেট চ্যানেলের অনুমতি দিয়েছি, তারপর এটি বাড়ানো হয়েছে। সেই সময় অনেকে বাধা দিয়েছিল যে, প্রাইভেটে টিভি চ্যানেল দেওয়া ঠিক হবে কি না? আমি যখনই যে কাজ করেছি সেখানে লক্ষ্য ছিল কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। তখন আমি বলেছিলাম, যত বেশি টেলিভিশন দিতে পারবো সেখানে সাংবাদিক থেকে শুরু করে বহু ধরনের মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। সাংবাদিক, শিল্পী, টেকনিশিয়ানসহ বহু ধরনের মানুষ কাজ পাবে, তাদের জীবন চলতে পারবে। সেভাবে আমরা টেলিভিশনটা উন্মুক্ত করে দেই।
সরকারপ্রধান বলেন, যতই সমালোচনা করেন, সমালোচনা থেকে যদি কোনো সংশোধন করা লাগে আমরা সেটা করে নেবো এবং আমরা সেটা করে থাকি। সেখানে আপনাদেরও কিছুটা দায়িত্ব আছে। স্বাধীনতা ভোগ করবেন, সঙ্গে দায়িত্ববোধও থাকতে হবে। দেশ ও জাতির জন্য কর্তব্যবোধ থাকতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও একসময় সাংবাদিকতা করেছেন। তার আত্মজীবনী পড়লে আপনারা সেটি জানতে পারবেন। শুধু সাংবাদিকতা নয়, পত্রিকা বিক্রির কাজও তিনি করেছেন। সেদিক থেকে বিবেচনা করলে আমি আপনাদের পরিবারের একজন সদস্য।