মহাস্থান নিউজ:
ভারতে গত জুনে ট্রেন দুর্ঘটনায় ২৯০ জনের বেশি মানুষ নিহত হওয়ার ঘটনায় ৩ রেলওয়ে কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শুক্রবার (৭ জুলাই ২০২৩) তিন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারের কথা জানায় ভারতের ফেডারেল ক্রাইম এজেন্সি।
সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে হত্যা ও প্রমাণ বিনষ্টের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। তদন্ত চলছে উল্লেখ করা বলা হয়েছে যে আটকদের মধ্যে ২ জন সিগন্যাল ইঞ্জিনিয়ার এবং একজন টেকনিশিয়ান রয়েছে।
পূর্ব ওড়িশা রাজ্যে জুনে ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছিল। একটি যাত্রী বোঝাই ট্রেন ভুলবশত একটি সংলগ্ন লুপ লাইনে ঘুরিয়ে দেওয়ার ফলে এটি লোহা আকরিক বোঝাই একটি স্থির মালবাহী ট্রেনকে ধাক্কা দেয়।এতে যাত্রীবাহী ট্রেনের বগিগুলো অন্য ট্র্যাকে লাইনচ্যুত হয়ে বিপরীত দিকে চলমান একটি পাসিং ট্রেনকে আঘাত করে।
সংঘর্ষের সময় দুটি যাত্রীবাহী ট্রেনে ২ হাজার ২৯০ জনেরও বেশি লোক ছিলো। আহত হয়েছেন প্রায় এক হাজার মানুষ।
দুর্ঘটনার পর ভারতের রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, দুর্ঘটনার কারণ সিগন্যালিং সিস্টেমের সঙ্গে সম্পর্কিত।
ভারত ১ দশমিক ৪২ বিলিয়ন জনসংখ্যার দেশ। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক যুগে নির্মিত বিশ্বের অন্যতম বিস্তৃত এবং জটিল রেলপথ রয়েছে। ৪০ হাজার মাইল (৬৪ হাজার কিলোমিটার) এর বেশি লাইন, ১৪ হাজার যাত্রীবাহী ট্রেন এবং ৮ হাজার স্টেশন, যা উত্তরে হিমালয় থেকে দক্ষিণে সমুদ্র সৈকত পর্যন্ত দেশজুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে। এটি এমন একটি ব্যবস্থা যা কয়েক দশকের অব্যবস্থাপনা এবং অবহেলার কারণে দুর্বল হয়ে পড়েছে।
নিরাপত্তা উন্নত করার প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, প্রতি বছর কয়েকশ দুর্ঘটনা ঘটে এবং বেশিরভাগ এই ধরনের দুর্ঘটনার জন্য মানবিক ত্রুটি বা পুরানো সংকেত সরঞ্জামকে দায়ী করা হয়।
জুনের দুর্ঘটনাটি ১৯৯৫ সালের পর থেকে ভারতের সবচেয়ে মারাত্মক ছিল, যখন নয়াদিল্লির কাছে দুটি ট্রেনের সংঘর্ষে ৩৫৮ জন মারা গিয়েছিল। এরপর ২০১৬ সালে একটি যাত্রীবাহী ট্রেন ইন্দোর এবং পাটনা শহরের মধ্যে লাইনচ্যুত হয়ে ১৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল।