মহাস্থান নিউজ:
রাজশাহীর চারঘাট-বাঘায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও স্থানীয় সংসদ সদস্য শাহরিয়ার আলমের প্রচেষ্টায় নানামুখী উন্নয়ন অব্যহত রয়েছে। এর মধ্যে শিগগিরই বাঘা পৌর এলাকায় চালু হতে যাচ্ছে ২২ কোটি ১১ লাখ টাকা ব্যয়ে পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন প্রকল্প।
এই প্রকল্প চালু হলে পৌর এলাকার সর্বস্তরের মানুষ একদিকে পাবে বিশুদ্ধ পানি, অপরদিকে হতদরিদ্ররা পাবে উন্নতমানের হাউজহোল্ড টয়লেট।
বাঘা উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত অর্থ বছরে বাংলাদেশে ৩০টি পৌর সভায় পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। এর মধ্যে রাজশাহীর তিনিটি পৌরসভা অর্ন্তভূক্ত হয়। পৌরসভা গুলোর মধ্যে রয়েছে- জেলার কাটাখালি, তাহেরপুর ও বাঘা পৌরসভা। এ জন্য অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ২২ কোটি ১১ লাখ টাকা। এর মধ্যে বাঘা পৌর সভার কাজটি অনুমোদন পাইয়ে দিয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী কে এম নাসির উদ্দিন জানান, এই প্রকল্পটি খুব শিগগিরই চালু করা হবে। আমরা ইতিমধ্যে পৌর এলাকার বাজুবাঘা, গাওপাড়া ও নারায়নপুর এলাকায় ৩টি উৎপাদক নলকূপ, ৩টি টেস্টটিউবওয়েল এবং ১টি ওভারহেড ট্যাংকি স্থাপন কাজ সম্পন্য করেছি। এই ট্যাংকির ধারণ ক্ষমতা ৬০ হাজার লিটার।
এ ছাড়াও একটি অফিস ভবন এর কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, উক্ত প্রকল্পের আওতায় ৩২ কিলোমিটার বিভিন্ন ডায়ার ডিস্টিবিউশন পাইপ লাইন স্থাপনের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে এবং হতদরিদ্রদের জন্য ১৭৮ টি ইমপ্রুভ হাউজহোল্ড টয়লেট এর কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। যার প্রাক্কলন ব্যয় হয়েছে প্রায় ৯০ লাখ টাকা। অপরদিকে চলমান রয়েছে আরও ৫০০ টি ইমপ্রুভ হাউজ হোল্ড টয়লেটের সাইট লিস্ট নির্ধারণের কাজ ।
স্থানীয় লোকজন মনে করছেন, বাঘা-চারঘাটের সংসদ সদস্য সদস্য ও বর্তমান সরকারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সুযোগ্য নেতৃত্ব ও নিরলস পরিশ্রমের কারণে চারঘাট-বাঘায় অভূতপূর্ব উন্নয়নসহ বাঘা পৌরসভা এই প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে পৌর এলাকার সর্বস্তরের মানুষ একদিকে যেমন পাবে বিশুদ্ধ পানি, অপরদিকে হতদরিদ্ররা পাবে উন্নতমানের হাউজহোল্ড (স্যানিটেশন) টয়লেট ।
বাঘা পৌর সভার সাবেক মেয়র আব্দুর রাজ্জাক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, আমরা অতি সৌভাগ্যবান যে, শাহরিয়ার আলমের মতো একজন যোগ্য মন্ত্রী পেয়েছি। তার হাত দিয়ে বর্তমান সরকারের একটানা ১৪ বছরে অত্র এলাকায় অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। যা বিগত কোনো সরকার আমলে হয়নি। তিনি গত অর্থ বছরে মন্ত্রীর মাধ্যমে বাঘা পৌর সভায় এ প্রকল্পটি অনুমোদন পাওয়ায় তাকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানান।